আজকের দিনে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে বড় আঘাত দিয়েছিল বিরাট-কার্তিক

আজকের দিনে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে বড় আঘাত দিয়েছিল বিরাট-কার্তিক

দেবজিৎ মুখার্জি: নিজের সমর্থকদের একাধিক মনে রাখার মতো মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দল। সে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় হোক বা ২০১১ সালে ওয়ানখেড়েতে ধোনির ছয় মেরে ওডিআই বিশ্বকাপ জেতানো, সবই চোখে লেগে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। আজও সেই দিনগুলির আলোচনা শোনা যায় প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাদের মুখে। বলা যায়, এই মুহূর্তগুলি চিরকাল তাজা থাকবে দেশের ক্রিক ম্যানিয়াকদের মনে।

তবে এগুলি ছাড়াও আরো বেশকিছু ছোট ছোট মুহূর্ত বা তারিখ রয়েছে যা কোনদিন ভুলতে পারবেনা ক্রিকেটমহল। যেমন আজকের দিনটি। অর্থাৎ ১৮ই মার্চ। এদিন দুটি চিরস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। বলা যায়, এর জেরে রীতিমতো কাঁদতে হয়েছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে। ২০১২ সালে আজকের দিনে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন কিং কোহলি। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে এই দিনে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে ছক্কা হাকিয়ে বাংলাদেশীদের মন ভেঙেছিলেন দীনেশ কার্তিক। এই দুই মুহূর্তের কথা ভাবলে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ আজও কাঁদে।

কি ঘটেছিল সেই সময়ে? ১৮ই মার্চ ২০১২। এশিয়া কাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ড বড়সড় রান তুলতে সফল হয়েছিল পাকিস্তানের ব্যাটাররা। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার তাদের মোট সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৯। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় ভারত। কোন রান না করেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান ভারতের বর্তমান হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। এরপর অর্ধশতরান করে আউট হন শচিন। তারপরই একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা এবং জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয় টিম ইন্ডিয়ার জন্য। বিরাট করেন ১৮৩। অন্যদিকে রোহিত আউট হন ৬৮ রানে। ৬ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে ভারত। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় বিরাটকে।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের এই দিনে নিদাহাস ট্রফি ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও বাংলাদেশ। ম্যাচটি ছিল ২০ ওভারের। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ৮ উইকেটে ১৬৬। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত আউট হন শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়না। এরপর হাল ধরেন রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন হিটম্যান। তবে মাঝের ওভারগুলিতে রান সেভাবে আসেনা এবং উইকেটও পড়ে যায়, যার ফলে রান রেট বাড়ে এবং চাপে পড়ে ভারত। তবে শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দীনেশ কার্তিক। শেষ বলে দরকার ৫ রান। বল ছিল সৌম্য সরকারের হাতে এবং ছক্কা হাকান দীনেশ কার্তিক। এর ফলে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনে ভারত এবং বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের ভেঙে যায় মন।

এই মুহূর্তগুলি আজ শেয়ার করা হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে। সকল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী কমেন্টের বন্যা বইয়ে দিয়েছে কমেন্ট বক্সে। সকলেই প্রশংসা করেছেন বিরাট কোহলি ও দীনেশ কার্তিকের। অধিকাংশেরই দাবি এই ম্যাচগুলি এখনো তাদের চোখে লেগে থাকবে। আবার অনেকে অন্যান্য মুহূর্তের কথাও তুলে ধরেছেন। সবমিলিয়ে, আজকের দিনে এগুলি ছিল এক বড় আলোচনার বিষয়।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *