দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: সদ্য শুরু হওয়া আইপিএল ২০২৫এর প্রথম ম্যাচে গতবারের জয়ী দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে বড়সড় জয় পায় আরসিবি এবং এর সঙ্গে ১৭ বছর আগের বদলাও নেয় তারা। তবে শুধু জয় বললে ভুল হবে, একেবারে বড় মার্জিনে ম্যাচটি জেতে তারা। ৭ উইকেট হাতে এবং প্রায় চার ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ নিজেদের নামে করে নিতে সফল হন বিরাট কোহলিরা। নাইটদের গোটা ম্যাচে হাবুডুবু খাওয়ায় ক্রুনাল পান্ডিয়ার স্পিন এবং বিরাট কোহলি ও ফিল সল্টের মারকুটে ইনিংস। এক কথায় বলতে গেলে একটি নিখুঁত টিম গেম তুলে ধরা হয় বেঙ্গালুরুর তরফ থেকে।
ম্যাচ জিতে অত্যন্ত খুশি গোটা আরসিবি শিবির। অ্যাওয়ে ম্যাচে এমন দুর্দান্ত জয় পাওয়ার পর দলের সকল ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা, প্রায় সকলেই মনে করছেন যে বেঙ্গালুরু যদি এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারে, তাহলে প্লে-অফের টিকিট পাকা তাদের জন্য। যদিও আবার অনেকে ভিন্ন মত দিয়েছেন। সবমিলিয়ে, এখন রজত পতিদার ও তাঁর বাহিনী হয়ে উঠেছে টক অফ দা টাউন।
তবে যিনি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রজত পতিদার এই জয় প্রসঙ্গে কি বলছেন। তাঁর অবস্থান কি? পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি ব্যাটার থেকে শুরু করে বোলার, সকলেরই প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, এটাও স্বীকার করেন যে তিনি প্রথমে চাপে ছিলেন ম্যাচের ফলাফল নিয়ে এবং এর সঙ্গে এটাও জানান যে এভাবে জয় পেতে থাকলে, দলের জন্য ভালো হবে।
রজত পতিদার বলেন, “আমি চাপে ছিলাম তবে দিনটা আমার জন্য ভালোই ছিল। এভাবে যদি আমরা জিততে থাকি, তাহলে দলের জন্য এটা ভালোই হবে। আমার কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার যে সুইয়াশ রান দিচ্ছে, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। ও আমাদের আসল উইকেট-টেকিং বোলার। ১৩ ওভারের পর থেকে ক্রূনাল আর সুইয়াশ বেশ সাহসের সঙ্গে বোলিং করেছে। ওদের উইকেট নেওয়ার মানসিকতাটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিরাট কোহলির মতো একজন ক্রিকেটারকে পাওয়া খুব ভাগ্যের বিষয়। আমি একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম বিশ্বের একজন সেরা ক্রিকেটারের থেকে কিছু শেখার। আমি কভারের উপর দিয়ে বেশি খেলছিলাম হার্ষিত রানার বলে। বলটা নিপ-ব্যাক করছিল আর অটোমেটিক্যালি চলে যাচ্ছিল।”