দেবজিৎ মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটে একটি বড় নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল জিতেছে আইসিসির তিনটি বড় ট্রফি – ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ধোনির এই অসাধারণভাবে নেতৃত্ব দেওয়া এবং ভালো ও খারাপ সময়, দুটোই সহজভাবে সামাল দেওয়া তাঁকে করে তুলেছেন সকলের নয়নের মনি। শুধু ভারতবর্ষেই নয়, গোটা বিশ্বে মাহির ভক্তদের সংখ্যা প্রচুর। ৮ থেকে ৮০, প্রায় সকলেই তাঁর ফ্যান।
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও আইপিএল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন মাহি। ব্যাট হাতে তিনি এখনো এমন পারফর্ম করছেন যে মনেই হচ্ছেনা তাঁর বয়স ৪৩। তবে তাঁর ভক্ত যেমন রয়েছে, তেমনি সমালোচকও রয়েছে। অনেক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রশ্ন ওঠে যে মাহি কবে আইপিএলকেও বিদায় জানাবেন। যদিও প্রাক্তন অধিনায়কের ভক্তদের এই প্রশ্নের যোগ্য জবাব দিতে দেখা যায় কমেন্ট বক্সে। বলা যায়, মাঝেমধ্যেই এই বিষয়টি আলোচনার বস্তু হয়ে ওঠে।
এবার এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখেন সিএসকের বর্তমান অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কি বললেন তিনি? আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এম চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে চেন্নাই। তার আগে তিনি বলেন, “৫১ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও দারুন ব্যাটিং করছেন শচীন তেন্ডুলকর। তাহলে ধোনি সেটা পারবেন না কেন?” ঋতুরাজের এমন জবাব মন ছুঁয়েছে মাহি ভক্তদের। সকলেই সেটির প্রশংসা করেছেন এবং আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে নামার আগে। প্রসঙ্গত, এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মাহি নিজেও। কি বলেছেন ক্যাপ্টেন কুল? ধোনির বক্তব্য, “এই দল আমার। তাই যতদিন ইচ্ছা ততদিন খেলবো। যদি হুইলচেয়ারেও বসে যাই, তাহলেও চেন্নাইকে টেনে নিয়ে যাবো।”
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৪ সালে প্রবেশ হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তাঁর অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় এবং প্রথমেই তিনি সাফল্য পান। ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন। এরপর আসে একের পর এক সাফল্য। ২০১১ সালে তাঁর সেই স্মরণীয় ছক্কায় ওয়ানখেড়েতে ওডিআই বিশ্বকাপ জেতেন টিম ইন্ডিয়া। তাঁর শেষ সাফল্য আসে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর। এছাড়া চেন্নাই সুপার কিংসকে তিনি একাধিকবার আইপিএল জিতিয়েছেন। ২০২০ সালে তিনি অবসর নিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট থেকে। তবে আইপিএল অভিযান চলছেই। এবার দেখার বিষয় যে কোথায় গিয়ে থামে ধোনির এই দৌড়।