দেবজিৎ মুখার্জি: আইপিএল ২০২৫ অভিযান দুর্দান্তভাবে শুরু হলো গতবারের রানার-আপ দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেল তারা। তারা পরাজিত করে আইপিএলের প্রথম মরশুমের জয়ী দল রাজস্থান রয়েলসকে। ৪৪ রানের ম্যাচ নিজেদের পকেটে পড়ে তারা। সৌজন্যে ঈশান কিশান ও ট্র্যাভিস হেডের মারকুটে ইনিংস এবং বল হাতে সিমারজিৎ সিং ও হার্শল প্যাটেলের দুর্দান্ত বোলিং। যদিও রাজস্থানও বেশ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। সবমিলিয়ে, মরশুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই এক অসাধারণ টিম গেমের মাধ্যমে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা।
তবে এদিনের হাই স্কোরিং ম্যাচে সবচেয়ে বেশি দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ঈশান কিশানের ঝড়ের গতিতে শতরান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ১০৬ রানে, যার মধ্যে রয়েছে ১১টি চার এবং ৬টি ছয়। রাজস্থানের প্রতিটা বোলারকেই রীতিমত হাবুডুবু খাইয়েছেন তিনি। তাঁর ইনিংসের কিছু মুহূর্ত ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমগুলিতে। এরপরই শুরু হয় কমেন্টের বন্যা। সকলেই প্রশংসা করেন ঈশানের এই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের। অনেকে দাবি করেছেন যে এমনটা খেলতে থাকলে তিনি ফের জাতীয় দলে নিজের জায়গা ফিরে পেতে পারেন। আবার অনেকে এটাও দাবি করেছেন যে শুধু একটি ইনিংসে এমন খেললে চলবেনা, বরং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
এদিন নিজেদের হোম গ্রাউন্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজস্থানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। কিন্তু যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তার ঠিক বিপরীতটা ঘটলো। রীতিমত রানের বন্যা বইয়ে দিল হায়দ্রাবাদ। এক দুর্দান্ত স্টার্ট আসে দলের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও ট্র্যাভিস হেডের ব্যাট থেকে। তবে দ্রুত স্কোরবোর্ডে রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অভিষেক। তাঁকে সেখানকার রাস্তা দেখান শ্রীলঙ্কার থিকশানা।
এরপরে নামে সেই ঝড়, যার নাম ঈশান কিশান। জাতীয় দলের জায়গা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে নেমে রীতিমতো স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে দেন তিনি। মাঠের প্রত্যেকটি কোনায় তাঁর হাঁকানো বাউন্ডারি পৌঁছায়। হায়দ্রাবাদের সমর্থকরা বেশ আনন্দ পান যখন ঈশান ও ট্র্যাভিস ব্যাট করছিলেন। যদিও ৬৭ রানের এক নজরকাড়া ইনিংস খেলে আউট হন হেড। তবে ঈশান ঝড় অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন এবং হায়দ্রাবাদ শেষ করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানে। যদিও ক্লাসেন ও নীতিশ রেড্ডির কেমিও ইনিংসও আনন্দ দিয়েছে সকলকে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান তোলে রাজস্থান। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় ঈশানকেই।