দেবজিৎ মুখার্জি: রবিবার ক্রিকেটপ্রেমীদের দুর্দান্ত ম্যাচ উপহার দিল আইপিএল ২০২৫। তাও আবার একটি নয়, দুটি। হায়দ্রাবাদ-রাজস্থানের পর চেন্নাই-মুম্বাই ম্যাচও হয় বেশ জমজমাটি। যদিও বরাবরই এই ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে থাকে প্রায় সকলেরই। আইপিএলের ইতিহাসে যখনই এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তখনই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লড়াই হয়েছে বেশ হাড্ডাহাড্ডি। একেবারে নেল বাইটিং এনকাউন্টার যাকে বলে।
গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একটা টানটান উত্তেজনা ভরা ম্যাচের সাক্ষী হয় গোটা এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। প্রথমে ব্যাট করে লাগাতার উইকেট পড়ে যাওয়ার জেরে অনেকটা চাপে পড়ে যায় মুম্বাই। যদিও শেষ পর্যন্ত তিলক বর্মা ও দীপক চাহারের লড়াকু ইনিংসের সাহায্যে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে মুম্বাই। ২০ ওভার শেষে তাদের মোট সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৫৫। অন্যদিকে, রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরুটা ভালো হলেও মাঝের ওভারগুলিতে রান অনেকটা চেপে যায়। উইকেটও পড়ে। শেষ পর্যন্ত পাঁচ বল বাকি থাকতে প্রয়োজনীয় রান তোলে তারা। এক কথায় বলতে গেলে, শেষ ওভার পর্যন্তই ম্যাচ গড়ায়।
তবে ম্যাচ হারলেও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মুম্বাইয়ের ২৪ বছর বয়সী ভিগ্নেশ পুথুর। তাঁর কোটার চার ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে তিনি তোলেন তিনটি উইকেট। বলতে গেলে, তিনি মুম্বাইকে একটা সময়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। বেশ চাপে ফেলেন চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। তাঁর ঘূর্ণির সামনে অনেকেই বেশ হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। চেন্নাইয়ের হয়ে যেই কাজটি করে দেখিয়েছিলেন নুর আহমেদ, সেই একই কাজ মুম্বাইয়ের হয়ে করে দেখান ভিগ্নেশ। ম্যাচ শেষে বহু তারকা ক্রিকেটার ভিগ্নেশের প্রশংসা করেন। এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনি পর্যন্ত তাঁর স্পিন ম্যাজিকে মুগ্ধ হয়েছেন। ম্যাচ শেষে প্যাট পর্যন্ত করেছেন মাহি তাঁর কাঁধে।
এবার ভিগ্নেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দলের বোলিং কোচ পারাস মামব্রে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “যখন আমরা ওকে ট্রায়ালে দেখেছিলাম, তখন ও কত ক্রিকেট খেলেছে, সেটা আমরা দেখিনি। বরং আমরা দেখেছিলাম ওর মধ্যে পোটেনশিয়াল কতটা। সিএসকের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু যেভাবে ও খেলেছে এবং চাপে ভরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। একটা সময়ে ও আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। ওর পারফরমেন্সে আমি বেশ খুশি। যখন নেটে রোহিত, সূর্য ও তিলক ওর বিরুদ্ধে ব্যাটিং করছিল, তখন ওরা বেশ হাবুডুবু খেয়েছে। সেটা দেখার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ওকে বড় ম্যাচে মাঠে নামানোর। সিদ্ধান্তটা ভালোই ছিল।”