নিউজ ডেস্ক: যতো নেশন্স লিগ শেষ হওয়ার দিন কাছাকাছি আসছে, ততই জমজমাটি হয়ে উঠছে টুর্নামেন্ট। একইদিনে চারটে খেলা আর সেই চারটেই সম্পূর্ণ হাড্ডাহাড্ডি। যেভাবে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সেমিফাইনালে টিকিট পাকা করেছে পর্তুগাল ও স্পেন, তেমনি একইভাবে কাঁটো কা টক্কর দিয়ে ইতালি ও ক্রোয়েশিয়াকে পরাজিত করে সেমিতে পৌঁছালো জার্মানি ও ফ্রান্স। এক কথায় বলতে গেলে, ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে এই চারটি ম্যাচ।
যদিও এই ম্যাচগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ইতালির ফুটবল। তিনটি গোল খেয়ে পরপর তিনটি গোল পাল্টা দিয়েছে তারা। কিন্তু যেহেতু আগের লেগে ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইতালি, তাই লড়াই দেওয়া সত্ত্বেও সেমির দরজায় পৌঁছাতে পারলোনা তারা। তবে দিনের শেষে তাদের খেলায় মুগ্ধ গোটা ফুটবল-জগত। অনেকেই তাদের লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ধীরেধীরে ফের সেই পুরোনো ছন্দে ফিরছে ইতালি।
এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ করতে শুরু করে জার্মানি। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কিমিচ। এরপর ৩৬ ও ৪৫ মিনিটে আরো দুটি গোল করে জার্মানি। প্রথমটি করেন মুসিয়ালা এবং দ্বিতীয়টি ক্লেনডেন্স্ট। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই সম্পূর্ণ চিত্র পাল্টে যায়। এবার জার্মানিকে পাল্টা দিতে শুরু করে ইতালি। ৪৯ মিনিটে দলের হয়ে খাতা খোলেন কিন। দ্বিতীয় গোলটিও তিনি করেন ৬৯ মিনিটে। অন্তিম গোলটি আসে একেবারে অন্তিম লগ্নে। অতিরিক্ত সময়ে গোল হাকান র্যাস্পাডোরি। এরপর আপ্রাণ চেষ্টা করেও আরো একটি গোল করে সমতা ফেরাতে পারেনি তারা। অবশেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে জার্মানির ফুটবলার ও সমর্থকরা।
পরের ম্যাচটি, অর্থাৎ ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়ায় ঘটে অঘটন। যা ভাবা হয়েছিল, তার ঠিক উল্টোটা ঘটে। প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে একেবারে জবরদস্ত পাল্টা দিল ফ্রান্স। তারাও ম্যাচের শুরু থেকে দুটি এক্সট্রা টাইম পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে। দুটি গোল করেন ওলিস ৫২ মিনিটে এবং ডেম্বেলে ৮০ মিনিটে। টাইব্রেকারে জয় পায় ফ্রান্স ৫-৪ স্কোরলাইনে এবং এর সুবাদে তারাও সেমিতে পৌঁছে যান। প্রসঙ্গত, ৫ ও ৬ জুন খেলা হবে সেমিফাইনাল। পর্তুগাল মুখোমুখি হবে জার্মানির এবং স্পেন খেলতে নামবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কোন দুটি দল ফাইনাল খেলে এবং কে শেষহাসি হাসে ট্রফি তুলে।