নায়ক হতে গিয়ে খলনায়ক হলেন গুরপ্রিত 

নায়ক হতে গিয়ে খলনায়ক হলেন গুরপ্রিত 

দেবজিৎ মুখার্জি: বিতর্কে জড়ালেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি এবং এরপরই শুরু হয় সমালোচনা ও কটাক্ষের বন্যা। এক কথায় বলতে গেলে, হিরো সাজতে গিয়ে ভিলেন হয়ে গেলেন। ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের তরফ থেকে বয়ে নিন্দার বন্যা। কি বা কাকে ঘিরে ছিল সেই পোস্ট? সেই পোস্টটি ছিল বিশাল কাইথকে নিয়ে। যেই মারাত্মক ভুলটি তিনি করেছিলেন, সেটাকে কেন্দ্র করে পোস্টটি করেছিলেন সান্ধু। কিন্তু সেটা পাল্টে তাঁকেই ব্যাকফায়ার করে।

শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ভারতীয় ফুটবলেররা। তবে যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তেমনটা একেবারেই হয়নি। মনে করা হচ্ছিল যে ম্যাচটি সহজেই নিজেদের দখলে দিতে সফল হবে ভারত। কিন্তু তা হয়নি। ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এই ফলাফল দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন সমর্থক থেকে শুরু করে প্রাক্তন তারকা সকলেই। এমনকি দলের বর্তমান কোচ মানোলো মার্কেজ পর্যন্ত ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে পারফরমেন্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে এই ম্যাচে একটি মুহূর্ত আসে যখন একটি মারাত্মক ভুল করেছিলেন দলের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। কি ভুল করেছিলেন তিনি? ঘটনাটি ঘটে ম্যাচ শুরুর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে। তাঁর ভুলের জেরে গোল খেতে যাচ্ছিল ভারত। কিন্তু ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় দল। সেটা হলে পুরো চিত্রটাই পাল্টে যেতো এবং পস্তাতে হত সুনীল ছেত্রীদের। এই মুহূর্তটিকে কেন্দ্র করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টের মাধ্যমে, কাইথের নাম না করে, কটাক্ষ করেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। কি পোস্ট করেছেন তিনি? ম্যাচ শেষে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বল রুখছেন ডাইভ দিয়ে এবং ক্যাপশনে লেখা, “আছে পার্থক্য”।

এই পোস্ট ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা মনে করেন যে এটি বিশাল কাইথের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং এরপর শুরু হয় নিন্দার বন্যা। অনেকে দাবি করেন যে এমনটা একেবারেই করা উচিত হয়নি গুরপ্রীতের। আবার অনেকে সরাসরি এটাও লেখেন যে এখন তিনি হিরো সাজছেন। কেউকেউ এমনটাও দাবি করেন যে গুরপ্রীতের কারণে অতীতে বহু ম্যাচ হেরেছে ভারতীয় ফুটবল দল। সবমিলিয়ে, তাঁর পোস্টে তাঁকেই ধুয়ে দিয়েছেন সমর্থকরা। একবার দেখার বিষয় যে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে কেমন পারফর্ম করেন দলের ফুটবলাররা। তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *