দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলের নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাস্ট মিনিট আপসেট ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল লখনৌ সুপার জায়েন্টস। তারা পরাজিত করলো শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতল তারা। সৌজন্যে বল হাতে শার্দুল ঠাকুরের বিধ্বংসী বোলিং এবং ব্যাট হাতে ফের নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শের মারকুটে ইনিংস। সবমিলিয়ে, এক নিখুঁত টিম গেমের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে তাদের তরফ থেকে। এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।
তবে এদিনের ম্যাচে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শার্দুল ঠাকুরের ম্যাজিকাল স্পেল। বল হাতে তিনি একাই তুলেছেন চারটি উইকেট। নিজের চার ওভারের কোটায় তিনি দিয়েছেন ৩৪ রান। এক কথায় বলতে গেলে, তিনি রীতিমতো হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। ঈশান কিষানদের ফের পাহাড় সমান রান করা থেকে রুখে দেন তিনি। তাঁর সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচ সহ গোটা এলএসজি শিবির এই পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনিই হন ম্যাচের সেরা।
এদিনের ম্যাচ খেলা হয়েছিল হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টসে জিতে প্রথমে হোম টিমকে ব্যাট করতে পাঠান এলএসজি অধিনায়ক ঋষভ পান্থ। তবে শুরুটা একেবারেই মনের মতো হয়নি তাদের। শার্দুল ঠাকুরের দাপুটে বোলিংয়ের জেরে দ্রুত প্যাভিলিয়ন ফিরে যান দলের দুই হার্ড হিটিং ব্যাটারে অভিষেক শর্মা ও ঈশান কিশান। দশ ওভারের মধ্যেই তিনটি উইকেট হারায় তারা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৯০। সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ট্র্যভিস হেড। এছাড়া অনিকেত বর্মা করেন ৩৬ এবং নীতিশ রেড্ডি ৩২। লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিজের ঝুলিতে তোলেন শার্দুল ঠাকুর।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে লখনৌর শুরুটাও একেবারে ভালো হয়নি। ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন এডেন মার্করাম। তারপর ফের ইনিংসের ভার সামলান নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ। আবারো অর্ধশতরাণ করেন দুই বিদেশি তারকা। পুরান করেন ২৬ বলে ৭০ এবং মার্শ করেন ৩১ বলে ৫২। বলতে গেলে, দুজনের এই মারকুটে ইনিংস রাস্তা সহজ করে দেয় লখনৌর। যদিও দুজনে শেষ পর্যন্ত ফিনিশ লাইন পার করাতে পারেননি। প্রয়োজনীয় রান তুলতে গিয়ে মোট ৫টি উইকেট হারাতে হয় ঋষভ পান্থদের। উইনিং স্ট্রোক আসে ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে। ম্যাচ জিততেই আনন্দে মেতে ওঠেন দলের সমর্থকরা। এবার দেখার বিষয় পরবর্তী ম্যাচগুলিতে কেমন পারফর্ম করে দল।