গত রাতে লখনউ আর কেকেআর এর খেলা দেখছিলাম, দেখতে দেখতে একটা কথা মনে পড়ে গেল সেটা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। আমাদের চ্যানেল নিউজ চ্যানেল নয়। আমরা খবরের মধ্যের খবর তুলে আনার চেষ্টা করি, সেই চেষ্টা করছি। ইদানিং কাগজের খবর পড়তে গিয়ে দেখছি কেকেআর নাকি পিচ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কিউরেটর সুজন মুখার্জি বলেছেন তিনি কেকেআর এর চাপের কাছে মাথা নত করে স্পিন সহায়ক পিচ বানাবেন না।
আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এ ধরনের ঘটনা ঘটে নি, শুধু বিতর্ক সৃষ্টি করে বাজর গরমের অপচেষ্টা। ঠিক যেন টিভি বিতর্কের মুরগি লড়াই।
হোম টিম ইচ্ছেমত পিচ চাইতেই পারে, এর মধ্যে অবাক হওয়ার কি আছে! টেস্ট ক্রিকেটের আমাদের দেশের মাঠে খেলা থাকলে গ্রীনটপ পিচের ঘাস তুলে স্পিনিং ট্র্যাক করা হয়, যাতে বল ঘোরে। কেকেআর যদি নিজের মাঠে স্পিনিং ট্র্যাক চায় তাহলে গেলো গেল করা কেন মাথায় আসেনা।
এবার আসি আজকের ম্যাচ প্রসঙ্গ, জনসন নামের বোলারটি আজকের জেতা ম্যাচ হারানোর মুল ভিলেন। ঝুড়ি ঝুড়ি রান দেওয়া ছাড়া ওর কোনো অবদান নেই। কেকেআর মাত্র ৪ রানে হেরেছে, জনসন এত রান না দিল অনায়াসে জিতে যেত।
ইচ্ছে করে কেউ হারলে কিছু বলার থাকেনা। ইংল্যান্ডের স্পিনার মঈন আলী স্পিন করাতে পারে, প্রয়োজন ব্যাটিং ও করতে পারে। মঈন থাকলে এত রান উঠতনা। রাসেল একদম ফর্মে নেই, ওর নাম হার্ড হিটার হিসেবে, কিন্ত ওকে অফ স্পিনার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার ব্যাটিং সেটআপ, আর স্পিন ঠিক হলেও ফার্স্টবোলার নেই। উমরান মালিক কে গতির জন্য নেয়া হলেও চোটের জন্য একটি ম্যাচও কেকেআর এর হয়ে খেলতে পারেনি, খেলার আগেই মাঠের বাইরে।
লেখা শেষ করি পিকে ব্যানার্জীর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ দিয়ে চচ্চড়ির মশলা গিয়ে বিরিয়ানি রান্না হয়না। কেকেআর এর হাল দেখে তাই মনে হচ্ছে।