দেবজিৎ মুখার্জি: আবারো ঘরের মাঠে পরাজয়ের শিকার হতে হলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। এবার তাদের পরাজিত করলো প্রীতি জিন্টার দল পাঞ্জাব কিংস। যদিও এই ম্যাচে জয় পাওয়া একেবারেই সহজ ছিলোনা পাঞ্জাবের কাছে। অল্প কয়টি রান তাড়া করতে নেমে বেশ বাধার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। তারা ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে ৫ উইকেটে। এদিনও বল হাতে তাক লাগান যূজবেন্দ্র চাহাল। যদিও পাশ থেকে যোগ্য সমর্থন দেন ইয়ানসেন ও ব্রার। সবমিলিয়ে, একটি নিখুঁত টিম গেমের উদাহরণ তুলে ধরে পাঞ্জাব।
এদিন বৃষ্টির জেরে ২০ ওভারের পরিবর্তে ১৪ ওভারের ম্যাচ খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় আরসিবি। ৫০ রানের গন্ডি ছোয়ার আগেই তারা হারায় ৭টি উইকেট। এদিন ব্যাট হাতে দল ও সমর্থকদের হতাশ করেছেন বিরাট কোহলি। আজ অনেকেই আশা করেছিলেন যে এই ম্যাচে তিনি ভেঙে দেবেন প্রাক্তন অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মাত্র ১ রান করে তিনি ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তাঁকে আউট করেন আর্শদ্বীপ সিং। যদিও শেষ পর্যন্ত তরুন অজি তারকা টিম ডেভিডের এক দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি ইনিংস সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে দেয় বেঙ্গালুরুকে। শেষ পর্যন্ত তারা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৯৫ রান।
তবে রান তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাবের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। ৫০ রানের গন্ডি পেরোতে না পেরোতেই তারা হারায় চারটি উইকেট। যদিও এরপরে একটি ছোট পার্টনারশিপ হয় নেহাল ওয়াধেরা ও শশাঙ্ক সিংয়ের মধ্যে। কিন্তু ভুবির বলে ভেঙে যায় জুটি। এরপর পাঁচটি উইকেট এবং ১১টি বল হাতে থাকতেই ম্যাচ নিজেদের নামে করে নেয় পাঞ্জাব। উইনিং হিট আসে মার্কাস স্টইনিসের ব্যাট থেকে। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় অর্ধশতরান হাকানো টিম ডেভিডকে।
এই জয়ের ফলে সাতটি ম্যাচে পাঁচটি জয় এবং দুটি পরাজয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব। তাদের মোট সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। অন্যদিকে, আরসিবি এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে। সাতটি ম্যাচে তারা জয় পেয়েছে চারটিতে এবং হেরেছে তিনটি। তাদের মোট সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। এবার দেখার বিষয় যে এই দুই দল পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারে কিনা।