দেবজিৎ মুখার্জি: হোম ম্যাচে হতাশাই সঙ্গী রইল আরসিবির। ঘরের মাঠে লুজিং স্ট্রিক অব্যাহত তাদের। এবার তাদের পরাজিত করলো শ্রেয়াস আইয়ার নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংস। যদিও এই জয় একেবারেই সহজ ছিলোনা প্রীতি জিন্টার বাহিনীর কাছে। অল্প লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে বেশ হাবুডুবু খেতে দেখা যায় দলের ব্যাটারদের। একটি নয়, দুটি নয়, একেবারে পাঁচটি উইকেট হারায় তারা। ম্যাচ শেষ হয় ১১ বল বাকি থাকতে। উইনিং হিট আসে মার্কাস স্টইনিসের ব্যাট থেকে।
তবে বেঙ্গালুরুর এই পরাজয়ের মাঝেও স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল দর্শক সহ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার তরুণ তারকা ক্রিকেটার টিম ডেভিডের ব্যাটিং। দল যখন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি একাই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এবং অর্ধশতরান হাকিয়ে দলকে এক সম্মানজনক ও লড়াই করার মতো টোটালে নিয়ে যান। বিশেষ করে অন্তিম ওভারে যেভাবে তিনি ছক্কার বন্যা বইয়েছেন, তা আনন্দ দিয়েছে সকলকে। বিরাট কোহলিরা ম্যাচ হারলেও ম্যাচের সেরা পুরস্কার পান টিম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টিম জানান কিভাবে তিনি সেই পিচে এমন একটি দ্রুতগতির ইনিংস খেলতে সফল হয়েছেন। অজি তারকা জানান যে দলের অন্যান্য ব্যাটাররা তাঁকে পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো দাবি করেন যে পিচ কিভাবে কাজ করছিলো, তা বোঝার তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন ডাগআউটে বসে। টিম বলেন, “এমন একটি পিচে ব্যাটিং করা সহজ ছিলোনা। তবে আমার আগে যারা ব্যাট করেছে, তারা আমায় বলেছে পিচটা কেমন কাজ করছে। এছাড়া আমি নিজেও সুযোগ পেয়েছিলাম পিচটাকে বোঝার। আমি শুধু রাস্তা খুজেছি কিভাবে ব্যাটিং করা যায় এই পরিস্থিতিতে।”
এরপরই নিজের ব্যাটিং, কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বক্তব্য রাখেন টিম। তিনি বলেন, “আমাদের কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্ট দলটা বানিয়েছে অনেককিছু মাথায় রেখে। আমি খুশি এটা ভেবে যে আমি ভালো পারফর্ম করতে পারছি ব্যাট হাতে। আমি যদি সুযোগ পাই উপরে এসে ব্যাট করার, তাহলে আমি দলের হয়ে কনট্রিবিউট করার চেষ্টা করবো।” প্রসঙ্গত, এদিন বৃষ্টির জেরে ২০ ওভারের পরিবর্তে ম্যাচ ১৪ ওভারের হয়। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু তোলে ৯ উইকেটে ৯৫। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাঞ্জাব।