প্রথম ম্যাচেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল! হতাশ ব্রুজো

প্রথম ম্যাচেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল! হতাশ ব্রুজো

দেবজিৎ মুখার্জি: গতবারের জয়ী দলের একি হাল! সুপার কাপ অভিযান শেষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম ম্যাচেই তারা দেখলো পরাজয়ের মুখ। লাল-হলুদ বাহিনীকে হিমশিম খাইয়ে ম্যাচ নিজেদের পকেটে তুললো কেরালা। ম্যাচের ফলাফল ০-২। এই হারে যেমন হতাশ হয়েছেন ক্লাবের সমর্থকরা, তেমনি কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে দলের কোচ অস্কার ব্রুজোকে। পাশাপাশি, গেম স্ট্র্যাটেজি নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এক কথায় বলতে গেলে, ক্লাবের পারফরমেন্সে খুব উগড়ে দিয়েছেন ভক্তরা। 

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এই পরাজয় প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন ব্রুজো। দলের ফুটবলারদের পারফরমেন্সে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি নিজের ঘাড়ে পরাজয়ের দায়িত্ব নেন। লাল-হলুদ কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে যেভাবে দলের ফুটবলাররা খেলেছেন, তাতে তিনি বেশ হতাশ হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি এটাও পরিষ্কার করে দেন যে দেশের প্রতিটা ফুটবল টুর্নামেন্টে সেরা হতে গেলে দলে বড়সড় পরিবর্তন দরকার। এছাড়াও তিনি কেরালা যেভাবে খেলেছে, সেটার প্রশংসাও করেন।

ব্রুজো বলেন, “ম্যাচে আমাদের থেকে কেরালা সবদিকে এগিয়ে ছিল। ওদের দলের ফুটবলারদের মধ্যে একটা খিদে ছিল। সবকটি সেকেন্ড বল জিতেছে ওরা। দ্রুত আমাদের প্লেয়ারদের বন্ধ করে দিচ্ছিল। আমরা শুধু দেখে যাচ্ছিলাম আর ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল। আমাদের দলের ফুটবলারদের যা অ্যাটিটিউড তাতে আমি বেশ হতাশ হয়েছি। এছাড়া ওদের পারফরমেন্স ও খেলার মানেও আমি একেবারে খুশি নই।” এরপর ক্লাবের সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “সমর্থকরা আমাদের প্রতি মুহূর্তে সাপোর্ট করেছে। তাই তাদের এখন বার্তা দিতেও খুব লজ্জা লাগছে। আমি এটা বলে বলে খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি যে ভক্তরা আমাদের জীবন এবং ওরাই আমাদের ফুয়েল। আমাদের ময়দানে সবটা দিতে হবে।”

এরপর দলে পরিবর্তন আনা নিয়েও বক্তব্য পেশ করেন ব্রুজো। তিনি বলেন, “আমি মনে করি যে আমাদের দলে বড়সড় পরিবর্তন আনা দরকার। এই মরশুমে কিছু ভালো মুহূর্ত ও একাধিক সমস্যার সমাধান সত্ত্বেও, আমি হতাশ ও ফ্রাস্ট্রেটেড। আমাদের কাছে সেই রিসোর্স নেই যাতে আমরা অন্য দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাইনা। এটা সময় নয় আঙুল তোলার। তবে আমার কাছে এক শক্তিশালী মেন্টালিটি টিমের মধ্যে ঢোকানোটা বেশ কঠিন ছিল। ধারাবাহিকতা ছিলোনা আমাদের মধ্যে।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *