নিউজ ডেস্ক: গতবছর আগস্ট মাসে কতটা ভয়ংকর ছিল ইউনুসের দেশ, ওরফে বাংলাদেশের পরিস্থিতি? এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ চণ্ডিকা হাতুরেসিংহে। এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ঠিক কিভাবে এবং কেমন অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো জানান যে ঠিক কিভাবে তিনি এয়ারপোর্টে প্রবেশ করেন। প্রাক্তন কোচ বোঝান বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তিনি কতটা আতঙ্কে ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে বাংলাদেশে। কোটা-বিরোধী আন্দোলন নেয় উগ্র রূপ। দিনদিন অবস্থার এতটাই অবনতি হতে থাকে যে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে সেই দেশে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় হত্যালীলা। প্রতিটি প্রান্তে লাগাতার আক্রমণের শিকার হন আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা। এখানেই শেষ নয়, এর উপর শুরু হয় চরম হিন্দু নির্যাতন। হত্যা থেকে শুরু করে ধর্মীয়স্থান ভাঙচুর, কোনকিছুই বাদ যায়নি সেখানে।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকে দেশ পর্যন্ত ত্যাগ করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সেখানকার ক্রিকেটার বা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত অনেকে। এবার এই ব্যাপারেই মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ চণ্ডিকা হাতুরেসিংহে। অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি এবং জানান নিজের এস্কেপ স্টোরি। তিনি বুঝিয়ে দেন যে মুজিবের দেশ ছাড়ার আগে কতটা আতঙ্কিত ছিলেন। সেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরো জানান যে ফ্লাইটে ওঠার আগে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন ছিলো।
হাতুরেসিংহে বলেন, “বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ আমাকে দিয়েছিলেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী। আমার কাছে ওনার কথাই শেষ কথা ছিল। উনি আমায় বলেন যে বোর্ডকে এই বিষয়ে জানানোর কোন দরকার নেই এবং জিজ্ঞেস করেন যে আমার কাছে ফিরে যাওয়ার টিকিট আছে কিনা। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা একটা সতর্কতা এবং কিছুটা ভয় পাই। উনি আমাকে আরো জিজ্ঞেস করেন যে আমার কাছে গার্ড ও ড্রাইভার আছে কিনা। সেই মুহূর্তে আমার কাছে শুধু ড্রাইভার ছিল।”
এরপর হাতুরেসিংহে সংযোজন করে বলেন, “বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে আমি সোজা ব্যাংকে যাই। সেখানে যখন ছিলাম, তখনই আমি জানতে পারি যে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সময়ে ব্যাংক ম্যানেজার আমাকে বলেন যে তিনি আমার সঙ্গে যাবেন এবং আমাকে রাস্তায় মানুষের দেখাটা নিরাপদ হবেনা। একটা টুপি ও হুডি পড়ে কোনরকমে আমরা এয়ারপোর্টে প্রবেশ করি। নিরাপত্তা ছিলোনা আর। মাঝরাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে বাংলাদেশ ছাড়া হয়েছিল।”