দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: চলতি আইপিএলে আরো চাপ বাড়লো গতবারের জয়ী দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এবার তারা পরাজিত হলো নিজেদের হোম গ্রাউন্ড ইডেন গার্ডেন্সে। শুধু পরাজয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে পরাজিত হলো তারা। ৩৯ রানে তাদের হারালো গুজরাট টাইটেন্স। সৌজন্যে ব্যাট হাতে অধিনায়ক শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনের মারকুটে ব্যাটিং এবং বল হাতে প্রসিধ কৃষ্ণা ও রাশিদ খানের অসাধারণ বোলিং। সবমিলিয়ে, এই জয়ে একদিক থেকে যেমন আরও এগিয়ে নিয়ে গেল গুজরাটকে, তেমনি পিছিয়ে পড়লো নাইট বাহিনী।
এদিন প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। নেমেই আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন। কলকাতার বোলারদের চারিদিকে বাউন্ডারি মারতে থাকেন দুজনে। বলা যায়, নাইটদের বোলারদের চোখে-মুখে চাপ বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে দুটি ভাঙেন তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান সুদর্শনকে। এরপর বাটলারকে নিয়েও একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন গিল। তবে মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন গুজরাট অধিনায়ক। ৯০ রানে তিনি আউট হন। বিনা খাতা খুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাহুল তেওয়াটিয়া। এরপর শাহরুখ খানকে নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানে পৌঁছায় গুজরাট।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি নাইট বাহিনীর। মাত্র একটি রান করে আউট হন ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর কিছুক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকার পর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান নারীনও। তবে এদিন নাইট সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাটিং। ১৯ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন। অধিনায়ক রাহানে করেন ৫০। রিঙ্কু সিং ও রাসেলও তেমন দাগ কাটতে সফল হননি। দুজন মারকুটে ব্যাটার হিসেবে পরিচিত, কিন্তু আজ তাদের ব্যাট কথা বলতে পারেনি। তবে শেষ মুহূর্তে নেমে তরুণ ক্রিকেটার অংকৃষ রঘুবংশীর দুর্দান্ত কেমিও মন ছুয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৭ রান করে। দলের অন্যান্য ব্যাটারদের হাত খুলে রান করতেই দেখা যায়নি। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিলকে। এবার দেখার বিষয় যে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে কেমন পারফর্ম করে কেকেআর। তারা কি পারবে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে? তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।