রবিবারে খুশির হাওয়া পান্ডিয়া পরিবারে

রবিবারে খুশির হাওয়া পান্ডিয়া পরিবারে

দেবজিৎ মুখার্জি: রবিবার দিনটাই যেন ছিল পান্ডিয়া ভাইদের জন্য। দুই ভাই রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিলেন ক্রিকেটমহলে। একদিকে নিজের নেতৃত্বের জেরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে আগে এগিয়ে নিয়ে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অন্যদিকে, আরেক ভাই ক্রুনাল নিজের মারকুটে ব্যাটিংয়ের সাহায্যে ম্যাচ জেতালেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। যদিও লখনৌর বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হার্দিক হয়নি, তবে দিল্লির বিরুদ্ধে পুরস্কারটি জেতেন ক্রুনাল। সবমিলিয়ে, একেবারে একটা খুশির হাওয়া বয়েছে গতকাল পান্ডিয়া পরিবারে।

রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, একটি ক্রাঞ্চ গেমে ঘরের মাঠ ওয়ানখেরে স্টেডিয়ামে লখনৌ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে খেলতে নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে রীতিমতো রানের পাহাড় তৈরি করে তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ২১৫ রান। সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেল্টন। এছাড়া ৫৪ রানের একটি মারকুটে ইনিংস আসে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকেও। এছাড়া ব্যাট আরো অনেকেই মোটামুটি অবদান রেখেছেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে লখনৌর ইনিংস শেষ হয় ১৬১ রানে। পুরো ২০ ওভার খেলেছেন তারা। চারটি উইকেট পান বুমরাহ এবং তিনটি ট্রেন্ট বোল্ট। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হন উইল জ্যাক্স।

ম্যাচ শেষে হার্দিক বলেন, “যেই মোমেন্টাম আমরা পেয়েছি, সেটাকেই আগে নিয়ে যাচ্ছি। সকলেই ভাল খেলছে এবং সুযোগ নিয়েছে। বশ এসেই ছক্কা হাকিয়েছে এবং বোলাররাও একদম অন-টার্গেট ছিল। সকলেই লেগেছিল আজকের ম্যাচে। আমি বল করি তখনই যখন দরকার পড়ে। আজকে ভালো সুযোগ ছিল বশের কাছে বল করার। এই প্রতিযোগিতা অত্যন্ত কঠিন। তাই এগুলোর মধ্যে হারিয়ে গেলে চলবেনা। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এই মোমেন্টামটা আগে নিয়ে যেতে হবে।”

অন্যদিকে, আরসিবি বনাম ডিসি ম্যাচে দিল্লির দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে তিনটি উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। এরপরই বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়া একটি বড় পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতান। বিরাট আউট হন ৫১ রানে এবং ক্রুনাল অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে। তিনি টিম ডেভিডকে নিয়ে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচের সেরা হয়ে ক্রুনাল বলেন, “প্রথম ২০টা বল খেলতে আমার বেশ অসুবিধা হয়। কিন্তু অন্যদিক থেকে বিরাট কোহলি আমার কাজটা সহজ করে দেয় এবং আমাকে ব্যাক করতে থাকে। তারপর আমি ছন্দ খুঁজে পাই। তাই ওনাকে আমি বেশি ক্রেডিট দেবো।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *