দীর্ঘ অপেক্ষা হলো শেষ! ২০তম ইপিএল খেতাব জিতলা লিভারপুল

দীর্ঘ অপেক্ষা হলো শেষ! ২০তম ইপিএল খেতাব জিতলা লিভারপুল

নিউজ ডেস্ক: বড় রেকর্ড গড়তে সফল হলো লিভারপুল এফসি। কি এমন করল তারা? ২০বার নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হলো প্রিমিয়ার লিগ। এখানেই শেষ নয়, তারা ছুঁয়ে ফেলল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে এক বড় জয় পায় তারা। ম্যাচের ফলাফল ৫-১। এই জয়তে রীতিমতো আনন্দে ফেটে পড়েন ক্লাবের সমর্থকরা। সকলেই ক্লাবকে অসংখ্য অভিনন্দন জানান। আনন্দের কিছু চিত্র ধরা পড়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নিজেদের নামে করতে মাত্র একটি পয়েন্ট দরকার ছিল লিভারপুলের। টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে তারা খেলতে নামে নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল খায় করে তারা। অতিথিদের ম্যাচে এগিয়ে দেন সোলাঙ্কি। ১২ মিনিটে আসে তাদের তরফ থেকে গোল। এরপরই কয়েকটি মিনিটের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে যায় হোম টিমের সমর্থকরা। তাঁদের চোখে-মুখে রীতিমতো চিন্তা ফুটে ওঠে এবং ভাবতে শুরু করে কতক্ষণে গোলশোধ করবে তাঁদের দল। বলতে গেলে, একেবারে প্রার্থনা করতে শুরু করে দেয় ক্লাবের ফ্যানরা।

কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি হোম-ক্রাউডকে। ১৬ মিনিটে ফোটে তাদের মুখে হাসি। গোল করে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরান ডিয়াজ। ২৪তম মিনিটে তাদের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি লিভারপুলকে। দ্বিতীয়ার্ধে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল করে তারা। এবারের গোলদাতা গ্যাকপো। হাফ-টাইমের পর বেশ কিছুক্ষণ লিভারপুলকে কষ্ট করতে হয় গোলের মুখ দেখার জন্য। অবশেষে ৬৩ মিনিটে আসে তাদের চতুর্থ গোল সালাহের মাধ্যমে। পঞ্চম এবং শেষ গোলটি আসে টটেনহ্যামের উডোগির আত্মঘাতী গোলের দ্বারা। ফাইনাল উইসেল বাজতেই আনন্দে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। বহু লিভারপুল সমর্থকের চোখে জলও দেখা যায়।

ম্যাচ শেষে এক সমর্থককে বলতে শোনা যায়, “স্টেডিয়ামের চেয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে বেশি দর্শক বলে আমার মনে হচ্ছে। একটা দারুন মুহূর্ত। আমি প্রচন্ড ইমোশনাল ফিল করছি।” ক্যালাম ক্লেয়ার নামে এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, “এটা একটা স্পেশাল মোমেন্ট। দেখে ভালো লাগছে যে ক্লাবের সকল সমর্থক একসঙ্গে সেলিব্রেট করছে।” অন্য এক ব্যক্তির বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই আমি খারাপ সময়টা জানি। কিন্তু এটা খুশির সময়।” এক ট্যাক্সি চালকের বক্তব্য, “যখন ফাইনাল উইসেল বাজে, আমার চোখে জল চলে আসে সকলকে একসাথে সেলিব্রেট করতে দেখে।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *