দেবজিৎ মুখার্জি: দেশ ও রাজ্যকে দুর্দান্ত ক্রিকেট দেওয়ার উপহার পেলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। কি উপহার পেলেন তিনি? এবার তাঁর জন্য বড় ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। কি ঘোষণা করলেন তিনি? নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে নীতিশ উদীয়মান ক্রিকেটারকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান যে তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বিহার সরকারের তরফ থেকে। এখানেই শেষ নয়, নিজের পোস্ট থেকে তিনি এটাও দাবি করেছেন যে তিনি আশা করছেন যে আগামীদিনে বৈভব একাধিক রেকর্ড করবেন এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন।
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, গুজরাটের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠ সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থানকে বিশাল টার্গেট দেয় গুজরাট। অনেকে মনে করেছিলেন যে ম্যাচটা সহজেই নিজেদের নামে করে নেবেন শুভমান গিলরা। কিন্তু এমনটা হয়নি। বরং হলো তার উল্টোটা। সহজে নিজেদের নামে ম্যাচ করে নিলেন রিয়ান পরাগ ও তাঁর বাহিনী। বড় ব্যবধানে জয় পায় রাজস্থান। ৮ উইকেটে জেতে তারা। সৌজন্যে বৈভব সূর্যবংশীর আগ্রাসী ক্রিকেট। ৩৮ বলে ১০১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি এবং তাঁকেই ঘোষণা করা হয় ম্যাচের সেরা হিসেবে। এছাড়া যশস্বী জয়েসওয়ালও একটি দারুণ অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেন।
বৈভবের এই ইনিংসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। তাঁর সতীর্থরা তো উঠে হাততালি দেনই, এমনকি দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিজের ফ্র্যাকচার ভুলে গিয়ে হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং হাততালি দেন। ম্যাচের পরে বহু প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে বৈভবকে অভিনন্দন জানান। ক্রিকেটের ভগবান, তথা মাস্টার ব্লাস্টার, শচীন তেন্ডুলকর পর্যন্ত বেবি বসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বৈভবের পিতাও নিজের অবস্থান জানিয়েছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে ছেলেকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এবার এই ব্যাপারে মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে তিনি অভিনন্দন জানান বৈভবকে। নীতিশ বলেন, “আইপিএল এর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে শতরান হাকানোর জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই বৈভব সূর্যবংশীকে। নিজের কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার মাধ্যমে বৈভব নতুন আসা হয়ে উঠেছে দেশের। সকলেই ওর জন্য গর্বিত। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওকে 10 লক্ষ টাকা প্রাইজ মানি দেওয়া হবে। আশা করছি ও ভবিষ্যতে একাধিক রেকর্ড গড়বে এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।” এই পোস্ট চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় কমেন্টের বন্যা। অনেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। আবার অনেকে মনে করছেন যে সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এবং সেই কারণেই এসব করে বেড়াচ্ছেন নীতিশ। তবে সবমিলিয়ে, এই পোস্ট এই মুহূর্তে হয়ে উঠেছে এক বড় আলোচনার বিষয়।