“এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা” ধর্মশালার ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন এক চেয়ার লিডার

“এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা” ধর্মশালার ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন এক চেয়ার লিডার

দেবজিৎ মুখার্জি: “ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল” ধর্মশালায় আলো নিভে যাওয়া এবং ম্যাচ বাতিল ঘটনা প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন এক চেয়ার লিডার। এই ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত যাবতীয় সবকিছু জানান এবং বলেন যে সকলেই চিৎকার করছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন যে অনেকে বলছিলেন বোমা পড়বে। বলতে গেলে, তিনি বোঝান ঘটনার সময় ঠিক কেমন পরিস্থিতি ছিল গোটা স্টেডিয়ামের এবং সকলের মনের অবস্থাই বা কেমন ছিল। 

বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ধর্মশালায় এক ‘মাস্ট উইন গেম’ একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। বৃষ্টি হওয়ায় টস হতে দেরি হয় এবং অবশেষে রাত্রি ৮:৩০টা নাগাদ শুরু হয় ম্যাচ। নেমেই মারমুখী রূপ ধারণ করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ ও প্রভসিমরান। একের পর এক চার ও ছয় হাকাতে থাকেন দুজনে। ১০ ওভার শেষ হওয়ার পর প্রথম বলেই আউট হন প্রিয়াংশ। 

এরপর ব্যাট করতে আসেন দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ঠিক তখনই ঘটে ঘটনা। নিভে যায় আলো এবং শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় ম্যাচ। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয় স্টেডিয়াম ছাড়ার এবং সেই অনুযায়ী উপস্থিত সমস্ত দর্শক মাঠ ছাড়েন। তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। মাঠের বাইরে পাক-বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করে দর্শকদের তরফ থেকে। পাশাপাশি, অনেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান পর্যন্ত তোলেন। সবমিলিয়ে, এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয় স্টেডিয়াম ও তার আশেপাশের এলাকায়।

পুরো ঘটনার বিবরণ দেন এক চেয়ার লিডার। সেই সময় ঠিক কি হয়েছিল, যাবতীয় সবকিছু তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি, কতটা আতঙ্কিত ছিলেন তাঁরা, সেটাও বুঝিয়ে দেন। সেই চেয়ার লিডার বলেন, “খালি করে দেওয়া হচ্ছিল গোটা মাঠ। বেশ ভয় পরিবেশ তৈরি হয়েছিল একটা। সকলেই চিৎকার করছিল। অনেকে আবার বোমা পড়বে বলছিলেন। এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সেটা। স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলাম আমরা। আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের খেয়াল রাখবে আশা করবো। স্তম্ভিত হয়ে পড়ি যা ঘটেছে তাতে।” প্রসঙ্গত, ম্যাচ যখন বন্ধ হয় তখন স্কোরবোর্ডে পাঞ্জাবের রান ছিল এক উইকেটে ১২২। খেলা হয়েছিল ১০.১ ওভার। ৭০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াংশ আরিয়া। অর্ধশতরান করে অপরাজিত ছিলেন প্রভসিমরান সিং।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *