নিউজ ডেস্ক: শেষ হলো দীর্ঘদিনের অপেক্ষা! ১৭ বছর ধরে করতে থাকা লড়াই মিটলো অবশেষে। দেড় দশকের বেশি সময়ের পর খেতাব নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হলো টটেনহ্যাম হটস্পার। ইউরোপা লিগ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে তারা পরাজিত করল শক্তিশালী ম্যানইউকে, ওরফে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ম্যাচের ফলাফল ১-০। যদিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে ম্যানচেস্টার। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে জনসনের গোল এগিয়ে দেয় জয়ীদের। তারপর গোটা ম্যাচজুড়ে ডিফেন্স করে কাটায় তারা। সবমিলিয়ে, রক্ষণভাগের উপর ভর করে ইউরোপা লিগ ট্রফি নিজেদের নামে করতে সফল হলেন পস্টেকগ্লৌয়ের ছেলেরা।
সেই ২০০৭-০৮! আজ থেকে ঠিক ১৭ বছর আগে এক ট্রফি নিজেদের ঝুলিতে তুলেছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু তারপর শুরু হয় ট্রফির খড়া। ভালো ফুটবল খেলা সত্ত্বেও দল কোনভাবেই খেতাব জিততে পারছিলোনা। এমনও হয়েছে যে কাছাকাছি এসেও তা হাতছাড়া হয় তাদের। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। এমনকি অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে পোস্ট করে জিজ্ঞেস করেন যে কবে এই দুর্দশা কাটবে ক্লাবের। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, ক্লাবের ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ ও সমর্থক, সকলেরই একপ্রকার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছিল।
তবে এবার সেই অপেক্ষায় দাগ টানতে সফল হন টটেনহ্যামের ফুটবলাররা। ইউরোপা লিগের ফাইনালে তারা পরাজিত করলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ৪২ মিনিটে ব্রেনান জনসনের গোল খাতা খুলতে সাহায্য করে দলকে। যদিও ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ম্যানচেস্টার। পাসিং ফুটবলের মাধ্যমে তারা লাগাতার ভেদ করতে থাকে টটেনহ্যামের ডিফেন্সকে। কিন্তু একবারও সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র দেখা যায়। আবারো আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে ম্যানচেস্টার, যা কোনভাবে রুখে দিতে সফল হয় টটেনহ্যামের রক্ষণভাগ এবং ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলে।
ফাইনাল উইসেল বাজতেই আনন্দে ফেটে পড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত টটেনহ্যামের সমর্থকেরা। দলের ফুটবলারদেরও একই কাজ করতে দেখা যায়। এমন দৃশ্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এই মুহূর্তগুলি ঘোরাফেরা করছে এখন। ক্লাবের সমর্থক থেকে শুরু করে অন্যান্য ফুটবলপ্রেমীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন টটেনহ্যামকে। বহু সমর্থক আশা করছেন যে এবার হয়তো ট্রফির খড়া কাটিয়ে আবার আগের মতো দাপট দেখাবে টটেনহ্যাম। আবার অনেকে অন্য মত দেন। তবে সবমিলিয়ে, দীর্ঘদিন পর এই জয় শুধু ক্লাবের সমর্থকদের নয়, বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদেরও আনন্দ দিয়েছে।