নেই মেসি! তবুও উরুগুয়ের বিরুদ্ধে জয় আর্জেন্টিনার

নেই মেসি! তবুও উরুগুয়ের বিরুদ্ধে জয় আর্জেন্টিনার

নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের মতো কীর্তি এবার করে দেখালো আর্জেন্টিনাও। কি করে দেখালেন দলের ফুটবলাররা? মেসি না থাকতেও ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুললো তারা। তাও আবার উরুগুয়ের মতো এক শক্তিশালী ও বিশ্বজয়ী দলের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা উরুগুয়েকে পরাজিত করলো ১-০ গোলে। এ দিনের ম্যাচে রীতিমতো হাবুডুবু খেতে দেখা গিয়েছে উরুগুয়ের ফুটবলারদের। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অ্যাটাকিং ফুটবল খেলে গিয়েছে আর্জেন্টিনা।

২০২৬ সালে খেলা হবে ফিফা বিশ্বকাপ। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দলকেই যোগ্যতা অর্জন করে টুর্নামেন্ট খেলতে হয় এবং তা প্রমান করতে খেলতে হয় ম্যাচ। সেই অনুযায়ী উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তাদের হোম গ্রাউন্ড সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। মেসি নেই বলে একটা চাপ চলছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মনে। এমনটাই ভাবছিলেন সে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটে। একেবারে নির্ভীক ফুটবল খেলে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে তারা। বরং উরুগুয়ের ফুটবলারদের চোখে-মুখে চাপ ফুটে উঠছিল।

বাঁশি বাজতেই আক্রমণে নামে আর্জেন্টিনা। একাধিকবার উরুগুয়ের গোলপোস্টে পৌঁছে প্রথম মিনিট থেকেই চাপে ফেলতে শুরু করে তাদের রক্ষণভাগকে। যদিও কোনভাবে তা বাঁচিয়ে দেয় তারা। অন্যদিকে উরুগুয়ের কাছেও কয়েকটি সুযোগ আসে লিড নেওয়ার। কিন্তু সেগুলি তারা কাজে লাগাতে সফল হয়নি। কাছাকাছি এসে হাতছাড়া হয়েছে সেই সুযোগ। তবে প্রথমার্ধের শেষে বল পোজেশন বেশি ছিল আর্জেন্টিনারই। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। একাধিক স্কোরিং অপরচুনিটি নষ্ট হয় দুই দলেরই।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র দেখা যায়। আবারো শুরু থেকে আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা এবং একইভাবে উরুগুয়ে রক্ষণভাগ তা বাঁচাতে থাকে। কিন্তু ৬৮ মিনিটের মাথায় খাতা খোলে গতবারের বিশ্বজয়ী দল। দলকে ম্যাচে এগিয়ে দেন থিয়াগো আলমাডা। এরপর সমতা ফেরাতে মরিয়া উরুগুয়ে পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তা কাজে আসেনি। উল্টে আক্রমণের ঝাঁজ আরো বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে লালকার্ড দেখানো হয় গঞ্জলেসকে। দশজনে নেমে আসার পর সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে উরুগুয়ে। কিন্তু তারা সফল হয়নি এবং ১-০ স্কোরলাইনে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। এই জয়ের পর সেই দেশের ফুটবল মহল থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমী সকলেই মনে করছেন যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে এখন থেকেই এবং আশা করছেন যে মেসির অবর্তমানে তাঁরাই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেবেন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *