দেবজিৎ মুখার্জি: একেবারে স্বপ্নের মতো শুরু হলো দিল্লি ক্যাপিটালসের আইপিএল ২০২৫ অভিযান। একেবারে ড্রিম স্টার্ট বলতে যা বোঝায়। যেই ম্যাচ জেতারই কথা নয়, সেই ম্যাচটিই নিজেদের পকেটে পুড়লো তারা। বলতে গেলে, একেবারে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন অক্ষর প্যাটেলের বাহিনী। তিন বল বাকি থাকতে এক উইকেটে ম্যাচ নিজেদের নামে করে দিল্লি। খেলাটি হয় বেশ জমজমাটি। সকল দর্শকদেরই রেখেছিল এজ অফ দ্যা সিট। সবমিলিয়ে, লখনৌর সমর্থকরা হতাশ হলেও এই ম্যাচ মন ছুঁয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
তবে দিল্লির এই জয়ের নায়ক দলের তরুণ তারকা আশুতোষ শর্মা। ক্রিজে এসেই তিনি আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন। এক কথায় বলতে গেলে, নেমেই লখনৌর বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করেন। মাঠের প্রত্যেকটি কোনায় তিনি বাউন্ডারি হাকান। উইনিং স্ট্রোক আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। ৩১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই দুর্দান্ত ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছয়। গোটা ক্রিকেটমহল আশুতোষের এই ইনিংসে মুগ্ধ হয়েছে। বহু প্রাক্তন তারকারা মনে করছেন যে ভবিষ্যতে আশুতোষ হয়ে উঠতে পারেন টিম ইন্ডিয়ার এক মূল্যবান খেলোয়াড়।
ম্যাচের সেরা ঘোষণা করায় আশুতোষ নিজেও বেশ খুশি। তবে এই ইনিংসটি তিনি ডেডিকেট করেছেন ওনার মেন্টর শিখর ধাওয়ানকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে যাবতীয় সব কথা জানিয়েছেন। আশুতোষের বক্তব্য, “আমি এই অ্যাওয়ার্ড আমার মেন্টর শিখর পাজিকে ডেডিকেট করতে চাই। গতবছর যা ভুল করেছি, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আগের মরশুমে কয়েকটি ইনিংসে আমি ফিনিশ করতে পারিনি। সারাবছর আমি সেই বিষয়টার উপর নজর দিই এবং ভাবতে থাকি। আমার মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে যদি আমি শেষ পর্যন্ত টিকে যাই, তাহলে যা কিছু ঘটতে পারে।”
যদিও গতকালের ম্যাচে আশুতোষ শর্মাকে বেশ ভালোই সাথ দিয়েছিলেন দলের আরেক তরুণ ক্রিকেটার বিপ্রাজ নিগম। নেমেই আক্রমণ করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর মোট সংগ্রহ ১৫ বলে ৩৯ রান, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি চার এবং দুটি ছয়। বলা যায়, তিনিই ম্যাচের মোমেন্টাম দিল্লির দিকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই প্রসঙ্গেও আশুতোষ নিজের অবস্থান জানান। তিনি বলেন, “বিপ্রাজ দারুন খেলেছে। আমি ওকে বলছিলাম ও যেন মেরে খেলতে থাকে। চাপ থাকলেও ও বেশ ঠান্ডা ছিল।” দিল্লির এই জয়তে খুশির রাজধানীর সকল ক্রিকেটপ্রেমী। এবার দেখার বিষয় যে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে দলের ক্রিকেটাররা কেমন পারফর্ম করে দাখেন।