অসাধ্য সাধন দিল্লির! হারা ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক আশুতোষ

অসাধ্য সাধন দিল্লির! হারা ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক আশুতোষ

দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলে ঘটলো অঘটন। অসাধ্য সাধন করে দেখালো দিল্লি ক্যাপিটালস। একেবারে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনলো তারা। লখনৌ সুপার জায়েন্টসের পাহাড়ের সমান লক্ষ্যমাত্রা একেবারে সাহসের সঙ্গে তাড়া করলেন অক্ষর বাহিনী। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ এক উইকেটে নিজেদের ঝুলিতে তুললো তারা। সৌজন্যে তরুণ ক্রিকেটার আশুতোষ শর্মার মারকুটে ইনিংস। অন্যদিকে, বল হাতে বেশ ভালই বোলিং করেছেন অজি তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক এবং কুলদীপ যাদব। 

তবে এতগুলি ভালো পারফরমেন্সের মাঝেও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আশুতোষ শর্মার ঝড়ের গতিতে রান করা। ৩১ বল খেলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছয়। সবমিলিয়ে, গোটা ৫০ রান তিনি করেন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। বিশেষ করে যেভাবে তিনি শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ দিল্লির নামে করেছেন, তাতে ফেটে পড়েছে গোটা স্টেডিয়াম। রীতিমতো আনন্দে মেতে উঠেছেন দিল্লির সমর্থকেরা। তাঁকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়। এই ম্যাচ উইনিং ইনিংসের সুবাদে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘টক অফ দা টাউন’।

এদিনের ম্যাচ ছিল বিশাখাপত্তনমের রাজশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। শুরুটা বেশ দারুন হয় লখনৌর। নেমেই মারমুখি রূপ ধারণ করেন দলের দুই ওপেনার এডেন মার্করাম এবং মিচেল মার্শ। তবে মার্করাম ফিরে যাওয়ার পর নামেন পুরান এবং কয়েকটি বল খেলার পরেই শুরু করেন আগ্রাসী রূপ নেওয়া। পরপর চার ও ছয় হাকাতে থাকেন তিনি। এরপর মার্শ আউট হন ৭২ রানে। পুরাণ প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৭৫ রানে। খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক ঋষভ পান্থ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে লখনৌর স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২০৯। দিল্লির হয় স্টার্ক নেন তিনটি এবং কুলদীপ দুটি উইকেট।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি দিল্লির। ১০০ রানের গন্ডি ছোয়ার আগেই পাঁচটি উইকেট পড়ে যায় তাদের। এরপর ট্রিস্টান স্ট্যাবসকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়েন আশুতোষ শর্মা। স্ট্যাবস আউট হওয়ার পর নেমেই বল বাউন্ডারি পার করতে শুরু করেন বিপ্রাজ নিগম। ১৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান স্টার্ক ও কুলদীপ। শেষে মোহিত শর্মাকে নিয়ে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান আশুতোষ। তিনি ছক্কা হাকাতেই মাঠে নেমে পড়েন দিল্লির অন্যান্য ক্রিকেটাররা। রীতিমতো লাফিয়ে ওঠেন কেভিন পিটারসেন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *