দেবজিৎ মুখার্জি: ভারতবর্ষের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ! ভারত-পাক যুদ্ধের প্রভাব পড়লো এবার ক্রিকেটে। আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল দেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত একসপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে বলতে গেলে, গোটা ব্যাপারটাই এখন অনিশ্চয়তায় ভরা। সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।
সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর হামলা করেন পাক সন্ত্রাসবাদীরা এবং এর জেরে মৃত্যু হয় অনেকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা ভারতবর্ষে। পাশাপাশি, শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি উগ্র হয়ে ওঠে এবং শেষে তা পরিণত হয় যুদ্ধে। বর্তমানে পুরোদমে অ্যাকশন মোডে নেমেছে দেশের কেন্দ্র সরকার এবং পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চলে চালানো হচ্ছে বড়সড় হামলা, যা দেখে খুশি ৮ থেকে ৮০ সকলেই।
এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ধর্মশালা হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে দিল্লি ও পাঞ্জাব। কিন্তু মাঝপথেই বন্ধ করতে হয় ম্যাচ। নিভে যায় আলো। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল দর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয় বেরিয়ে যাওয়ার এবং সেই অনুযায়ী তাঁদের সেটা করতে সাহায্য করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। স্টেডিয়ামের বাইরে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি ওঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে আইপিএল চালু রাখা হবে নাকি কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হবে।
অবশেষে যেটার ভয় পাচ্ছিলেন অনেকে, ঠিক সেটাই হলো। সবদিক বিবেচনা করে আপাতত আইপিএল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো বোর্ড। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এক সপ্তাহ স্থগিত রাখা হবে এবং বাকি পর্ব কবে হবে, সেই ব্যাপারে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং তারপরই ঘোষণা করা হবে। আরো জানা গিয়েছে যে আতঙ্কে রয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। সেই কারণে কোন ঝুঁকি নিতে চাইছেনা বোর্ড। এখানেই শেষ নয়, ক্রিকেটারদের দেশে ফেরানো নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি আইপিএলের গ্রুপ পর্ব এখনো পর্যন্ত শেষ হয়নি। শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আরো অনেকগুলি ম্যাচ বাকি রয়েছে। এবার দেখার বিষয় যে কবে আবার টুর্নামেন্ট চালু হয়। কি হবে শেষ পর্যন্ত? তা বলবে সময়।