দেবজিৎ মুখার্জি: ব্যাট হাতে টিম ইন্ডিয়াকে একাধিক ম্যাচ একা হাতে জিতিয়েছেন দলের চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অজস্র সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি। তিনি ক্রিজে নামলেই ধরে নেওয়া হত যে ম্যাচ ভারতের দখলে যাবে। ৮ থেকে ৮০, সকলেই তাঁর ভক্ত। যদিও আন্তর্জাতিক মঞ্চে শুধু নয়, দেশের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলেও বিরাটের পারফরম্যান্স দারুণ। সেই ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত তিনি রয়ে গেছেন আরসিবি, ওরফে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, শিবিরের সঙ্গে। তাঁর হাত ধরে দল জিতেছে বহু ম্যাচ।
আর কিছুক্ষণ পরই পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে আরসিবি। কিন্তু তার আগে চারিদিকে ঘোরাফেরা করছে এক বড় প্রশ্ন। কি সেই প্রশ্ন? বিরাট কোহলির পাশাপাশি আইপিএলে দাগ কাটতে সফল হয়েছেন প্রাক্তন অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নারও। তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের পাশাপাশি খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়েও। দুই দলের হয়েই তিনি খেলেছেন একাধিক ম্যাচ উইনিং ইনিংস। বর্তমানে তাঁর ও বিরাটের আইপিএল অর্ধশতরানের সংখ্যা ৬৬। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যে আজকের ম্যাচে কি বিরাট কোহলি হাফ সেঞ্চুরি করে ছাপিয়ে যেতে পারবেন ওয়ার্নারকে?
এই মুহূর্তে ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে চলছে বিরাট কোহলি বনাম ডেভিড ওয়ার্নার। বিরাট ভক্ত থেকে শুরু করে সকল ক্রিকেটপ্রেমীর মনেই এখন একটা প্রশ্ন চলছে যে আজকের ম্যাচে বিরাট ওয়ার্নারের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন কিনা। অনেকে মনে করছেন যে যেমন ফর্মে রয়েছেন বিরাট তাতে আজই সেই কাজটি করে দেখাবেন তিনি। আবার অনেকে মনে করছেন যে পাঞ্জাবের বোলিং অ্যাটাকের সামনে সেটি নাও হতে পারে। প্রাক্তন তারকাদের মতে বিরাট যদি আজ একটু সেট হয়ে ইনিংসের গতি ধরেন তাহলে অর্ধশতরানের পরিবর্তে শতরানও করে ফেলতে পারেন। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কিং কোহলির ডেভিড ওয়ার্নারকে টপকানো। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত আজ সেই কীর্তিটি করে দেখাতে পারেন কিনা বিরাট নাকি অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ম্যাচগুলির জন্য।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরসিবি। এখনো পর্যন্ত ছটি ম্যাচ খেলে তারা জিতেছে চারটি এবং হেরেছে দুটি। তাদের মোট সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। এই বছর যেমন ফর্মে রয়েছে গোটা দল তাতে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা সকলেই মনে করছেন যে তাদের কাছে একটা বড় সুযোগ রয়েছে প্রথমবার ট্রফি জেতার। যদিও হোম ম্যাচে পরাজয় চিন্তায় রেখেছে তাদের। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে কিনা বেঙ্গালুরু।