দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: গতবছর আইপিএল জিতলেও এই বছর একেবারেই ভালো যাচ্ছেনা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এখন পর্যন্ত তেমন দাগ কাটতে সফল হয়নি দল। ব্যাটিং ও বোলিং, দুটোরই অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এখানেই শেষ নয়, অনেক সময় জেতা ম্যাচ অবধি হেরেছে তারা। বিশেষ করে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারটি ছিল বেশ লজ্জাজনক। সবমিলিয়ে, চলতি আইপিএলে কেকেআর প্রায় ফ্লপ বলতে গেলে। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা বেশ কঠিন হয়ে গেছে তাদের কাছে।
এবার নাইটরা শিকার হলো আরো এক লজ্জাজনক পরাজয়ের। বড় ব্যবধানে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিল শুভমান গিল নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স। ৩৯ রানে তারা হারিয়েছে অজিঙ্কা রাহানের বাহিনীকে। সৌজন্যে গিল ও সুদর্শনের আগ্রাসী ইনিংস। এছাড়া বল হাতে ব্যাটারদের বেশ হাবুডুবু খাইয়েছেন প্রসিদ ও রাশিদ। চলতি মরশুমে কেকেআরকে দেখাই যাচ্ছেনা চেনা ছন্দে। রাসেল-রিংকুর মতো মারকুটে ব্যাটাররাও সমর্থকদের ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে পারেননি। এছাড়া ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাটও খুব একটা বেশি কথা বলেনি। বলতে গেলে এই মুহূর্তে একটা কালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা দল।
তবে গুজরাট ম্যাচে নাইট সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্লেয়িং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের স্লো ব্যাটিং হতাশ করিয়েছে সকলকে। পাশাপাশি, রিঙ্কু ও রাসেলের মারমুখী রূপ ধারণ না করাতেও ক্ষুব্দ হয়েছেন তাঁরা। এছাড়া ঠিক কি কারনে অঙ্কৃষ রঘুবংশীর মতো ক্রিকেটারকে এতো নিচে ব্যাট করতে পাঠানো হলো, তা নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সবমিলিয়ে, ৮ থেকে ৮০, প্রায় সকলেই এমন খেলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এবার এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন দলের মেন্টর, তথা প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা, ডোয়েন ব্র্যাভো। রাসেলকে দল থেকে সরানো প্রসঙ্গে ব্র্যাভো বলেন, “ও যখন ব্যাট করতে নামে তখন আস্কিং রেট ১৫তে পৌঁছে যায়। সেই মুহূর্তে ওর কাছে চালিয়ে খেলা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলোনা।” এরপর টপ অর্ডার ব্যাটারদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “গুজরাটের ব্যাটিংয়ের শুরুটা বেশ ভালো হয়েছে। ওদের টপ অর্ডার রান পেয়েছে। সেখানে আমাদের রাহানে ছাড়া সেই কাজটা কেউ করে দেখাতে পারেনি। ফিনিশাররা যাতে সহজে ম্যাচ শেষ করতে পারেন, তার জন্য টপ অর্ডারকে আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।”
এছাড়া অঙ্কৃষ রঘুবংশীকে নিচে ব্যাট করতে পাঠানো প্রসঙ্গেও নিজের অবস্থান জানান ব্র্যাভো। নাইট মেন্টর বলেন, “স্পিন আক্রমণের কথা মাথায় রেখে আমরা লেফট-রাইট কম্বিনেশন তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, নিচে নামতে হয়েছে অঙ্কৃষকে। যখন আপনার টার্গেট ২০০ রান হয়, তখন আপনি হিটারদের আগে নামিয়ে বেশি রান তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আমাদের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে। তবে তার মানে এই নয় যে ওরা পিছিয়ে বসে রয়েছে। আবার অনুশীলন করছে এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”