নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অর্জন পর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় জয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ফলাফল ৪-১। নিজেদের ঘরের মাঠে সমর্থকদের মুখের হাসি চওড়া করতে সফল হয়েছিলেন দলের ফুটবলাররা। এই জয় দলের কাছে আরও স্পেশাল কারণ খেলেননি তারকা স্ট্রাইকার মেসি এবং তা সত্ত্বেও তারা ব্রাজিলকে হারাতে সফল হয়েছে। সবমিলিয়ে, সাম্বা বাহিনীদের রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মেসিহীন আর্জেন্টিনা। স্বাভাবিকভাবেই, এই ফলে বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল।
তবে ম্যাচের পর দলের ফলাফল নিয়ে খুশি হলেও ব্রাজিলকে একহাত নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ম্যাচের আগে যেমন মন্তব্য এসেছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের তরফ থেকে, তাদের একপ্রকার অসন্তুষ্ট ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা এবং জেতার পর সেই বদলাটাই নেওয়া হয়। যদিও শুধু ফুটবলার বললে ভুল হবে, দলের সমর্থকরাও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে পোষ্টের মাধ্যমে কটাক্ষ করেন সাম্বা শিবিরের ফুটবলের। ম্যাচকি ঘিরে আবেগ ঠিক এতটাই।
যদিও এই সবকিছুর জন্য দায়ী আর্জেন্টিনা নয়। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের তরফ থেকেই। ম্যাচের আগে দলের তারকা মিডফিল্ডার রাফিনহা বড় মন্তব্য করেছিলেন। ঠিক কি বলেছিলেন তিনি? তাঁর বক্তব্য, “ওদের আমরা হারাবো। শুধু মাঠের অন্দরেই নয়। বাইরেও হারাবো। গোল তো আমার তরফ থেকে আসবেই। ময়দানে নিজের সেরাটা দেবো আমি।” কিন্তু হারাতে তো পারেনি, উল্টে নিজেরাই বিশ্রীভাবে পরাজিত হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে হারটি ছিল লজ্জাজনক হার।
এরপরই পাল্টা কটাক্ষ আসা শুরু করে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের থেকে। কারা কি বলেছেন? লিয়ো পারেদেস বলেন, “কথায় আছে ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি। সেই অবস্থা ঠিক রাফিনহার। এতো বড়বড় কথা কখনোই খেলতে নামার আগে বলা উচিত নয় যখন কিছুই করতে পারবেনা মাঠে নেমে।” অন্যদিকে এঞ্জো ফের্নান্দেস বলেন, “আমি মনে করি কঠর পরিশ্রম করা উচিত মুখ বন্ধ করে। সেটাই আমরা করেছি এবং ওদের শিক্ষা দিয়েছি। যদি এদিন মেসি খেলতো, তাহলে আরো কয়েকটা গোল হয়তো আমরা করতে পারতাম।” মুখে জবাব না দিয়ে, ব্রাজিলের ফুটবলারদের, মাঠে জবাব দেওয়ার প্রশংসা করেছেন আর্জেন্টিনার বহু ফুটবলপ্রেমী। সকলেই মনে করছেন যে এবারও বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা নিয়ে যাবে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি হয়। অন্যদিকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে ব্রাজিল? তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।