দেবজিৎ মুখার্জি: অবশেষে সফল হলো রজত পতিদার নেতৃত্বাধীন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শেষমেষ ঘরের মাঠ এম চিহ্নস্বামী স্টেডিয়ামে জয় পেলেন বিরাট কোহলিরা। যদিও জেতাটা একেবারেই সহজ ছিলোনা তাদের কাছে। বলা যায়, একেবারে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনে তারা। রাজস্থান রয়ালসের বিরুদ্ধে মাত্র ১১ রানে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হয় তারা। সৌজন্যে ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাদিক্কালের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার যশ হেজেলউডের বিধ্বংসী বোলিং। সবমিলিয়ে, এক টানটান উত্তেজনা ভরা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ জয় পায় আরসিবি।
অন্যদিকে, জয়ের কাছাকাছি এসে ম্যাচ হাতছাড়া হলো রাজস্থান রয়েলসের। এই নিয়ে পরপর পাঁচটি ম্যাচ হারলেন রিয়ান পারাগ ও তাঁর বাহিনী। অধিকাংশবারের মতো শুরুটা ভালো হওয়া সত্বেও মোমেন্টাম কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বলা যায়, ফের তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। এদিন তাদের বোলিং বিভাগ একেবারেই দাগ কাটতে সফল হয়নি। সহজেই তাঁদের বিরুদ্ধে রান করছিলেন আরসিবির ব্যাটাররা। অন্যদিকে, ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যায় সেই আগের ম্যাচগুলির ছোঁয়া। ম্যাচ জেতার মতো অবস্থা তৈরি হওয়া সত্ত্বেও শেষে গিয়ে দুই পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হয় তারা। আবারো অন্তিম ওভারগুলিতে মারমুখি হতে পারেনি ব্যাটিং বিভাগ। সবমিলিয়ে, সেই একই খামতি ধরা পরলো এই ম্যাচেও।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। নেমেই মারমুখি রূপ ধারণ করেন কিং কোহলি। তবে এদিন সল্টের ব্যাট থেকে আগের ম্যাচগুলির মতো দ্রুতগতিতে রান আসেনি। বেশ ধীর এই ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাঁকে। বেঙ্গালুরু প্রথম উইকেটটি হারায় সপ্তম ওভার চলাকালীন ৬১ রানে। এরপর পাদিক্কালকে নিয়ে একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন বিরাট। তবে ৪২ বলে ৭০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান মডার্ন ডে চেজ মাস্টার। এরপর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান পাদিক্কাল ও পতিদারও। এরপর টিম ডেভিড ও জিতেশ শর্মা মিলে দলের রান ২০০ পার করান এবং নির্ধারিত কুড়ি ওভারে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০৫।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থানও ঝড়ের গতিতে রান করা শুরু করে। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এদিন ১৬ রানে আউট হয়ে যান টিন ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। ৪৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান যশস্বী জয়েসওয়াল। ২৮ ও ২২ রানে ইনিংস শেষ হয় নীতিশ রানা ও রিয়ান পাড়াগের। মারমুখী রূপ ধারণ করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ রাজস্থানের ঝুলিতে তুলতে পারলেন না ধ্রুব জুড়েল। তিনি আউট হন ৪৭ রানে। দুই ওভারে মাত্র ১৮ রান বাকি থাকা সত্ত্বেও জয় নিজেদের নামে করতে পারলোনা রাজস্থান। যশ হেজেলউডের বোলিংয়ের সামনে মাথানত করতে বাধ্য হলেন রাজস্থানের ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তারা তোলে ১৯৪ রান এবং হারায় ৯টি উইকেট। চারটি উইকেট তুলে ম্যাচের সেরা হন হেজেলউড।