আইপিএলে ইতিহাস গড়ে একে অপরের প্রশংসা গিল-সুদর্শনের

আইপিএলে ইতিহাস গড়ে একে অপরের প্রশংসা গিল-সুদর্শনের

দেবজিৎ মুখার্জি: একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গুজরাট টাইটানসের দুই ওপেনার – অধিনায়ক শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দুই তারকাই জানালেন কিভাবে এক বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে একে অপরের সাথ দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, মানসিক অবস্থাই বা কেমন ছিল, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন দুজনে। গিল ও সুদর্শনের এই দুর্দান্ত ইনিংস ও পার্টনারশিপ মুগ্ধ করেছে দলের সমর্থক থেকে শুরু করে দেশের ক্রিকেটপ্রেমী সকলকেই।

রবিবার, ১৮ই মে, নিজেদের ঘরের মাঠ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গুজরাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামে দিল্লি। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো রানের পাহাড় গড়ে অক্ষর প্যাটেল ও তাঁর বাহিনী। বিশেষ করে এদিন দলের তারকা ক্রিকেটার কেএল রাহুলের ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। ৬৫ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল ১৪টি চার এবং ৪টি ছয়। অর্থাৎ মোট ৮০ রান তিনি করেন চার ও ছয়তেই। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১৯৯। অর্থাৎ পুরো 200 রানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় অতিথিদের। 

তবে নেমেই একেবারে মারমুখী রূপ ধারণ করেন গুজরাট টাইটানসের দুই ওপেনার। শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন। বিনা উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা এক ওভার বাকি থাকতে। শতরান হাকান সুদর্শন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১০৮ রানে, যার মধ্যে ছিল ১২টি চার এবং ৪টি ছয়। অন্যদিকে গিল অপরাজিত থাকেন ৫৩ বলে ৯৩ রানে। মোট তিনটি চার এবং সাতটি ছয় হাকান তিনি। এই ইনিংস ও জয়ের সঙ্গে একাধিক রেকর্ড ভাঙে গুজরাট। প্রথমত, এটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ আইপিএলের ইতিহাসে। দ্বিতীয়ত, এটি গুজরাটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। তবে যেই রেকর্ড সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের, সেটি হলো এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার ২০০ রান তাড়া করা হলো বিনা উইকেট হারিয়ে।

এই ব্যাপারে নিজেরদের অবস্থান ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জানান দুই ওপেনার। একে অপরের প্রশংসা করেন দুজনে। গিল বলেন, “যখন আপনি ফর্মে রয়েছেন এবং সাইয়ের মতো একজন শুরুটাকে বড়তে পরিণত করতে পারছে, তখন আপনাকে আর বেশি কিছু বলতে হয়না। কি দরকার সেটা নিয়েই শুধু কথা বলা হয়। আমরা যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, আমরা ভালো ক্রিকেটিং শট খেলতে চেয়েছিলাম। সাই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে।” অন্যদিকে ম্যাচের সেরা হয়ে সাই সুদর্শন বলেন, “গেম ফিনিশ করার মজাই আলাদা। পাওয়ারপ্লের পর সপ্তম থেকে দশম ওভার ওরা বেশ ভালোই বল করেছে। তবে আমরা মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। ১২ ওভারের পর আমরা ২-৩টে বড় ওভার পেয়েছিলাম, যা কাজটা সহজ করে তোলে। আমার আর গিলের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। আমরা একে অপরকে কমপ্লিমেন্ট করি।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *