দেবজিৎ মুখার্জি: জয়ের ছন্দে ফিরল গুজরাট। গত ম্যাচে লখনৌর বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর এদিন তারা হারালো টেবিল টপার দিল্লিকে। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পায় তারা। ৭ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলেন শুভমান গিলরা। সৌজন্যে বল হাতে প্রসিধ কৃষ্ণার দাপট এবং ব্যাট হাতে জস বাটলারের মারকুটে ইনিংস। অন্যদিকে, প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সত্ত্বেও তা কাজে লাগাতে সফল হলোনা দিল্লি। তাদের বোলিং বিভাগকে রীতিমত ভেঙে দেন গুজরাটের ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে, ঘরের মাঠে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে সফল হয় গুজরাট।
এদিনের ম্যাচ খেলা হয় গুজরাট টাইটান্সের হোম গ্রাউন্ড, ওরফে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। টসে জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান শুভমান গিল। তবে স্টার্ট ভালো পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি অভিষেক পোড়েল। ৯টি বল খেলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর কেএল রাহুল ও করুণ নায়ার কিছুক্ষণ একটি ছোট পার্টনারশিপ গড়েন। রাহুল আউট হওয়ার পরও অব্যাহত থাকে পার্টনারশিপ গড়া এবং নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২০৩। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। এছাড়া ৩৭ রানের একটি আগ্রাসী ইনিংস খেলেন আশুতোষ শর্মা। গুজরাটের বোলারদের মধ্যে চারটি উইকেট হলেন প্রসিধ কৃষ্ণা।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি গুজরাটের। মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অধিনায়ক শুভমান গিল। তবে এরপর একটি বড় ও দাপুটে পার্টনারশিপ হয় জস বাটলার ও সাই সুদর্শনের মধ্যে। সুদর্শন আউট হওয়ার পরও রান করার গতি একই রাখে গুজরাট। শারফেন রুদারফোর্ডকে নিয়ে আরো একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন বাটলার। ৩৪ বলে ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রুদারফোর্ড। এরপর রাহুল তেওয়াটিয়াকে নিয়ে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান বাটলার। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে এবং তিনিই হন ম্যাচের সেরা। এই জয়ের ফলে দিল্লির জায়গা টেবিল টপার হয়ে গেল গুজরাট। অন্যদিকে, দিল্লি ক্যাপিটালস চলে গেছে দুই নম্বরে। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কোন দলগুলি পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারে। কি হবে শেষ অবধি দিল্লি ও গুজরাটের পরিণতি? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।