দেবজিৎ মুখার্জি: নিজের ব্যাট থেকে আসা একটি দুর্দান্ত ইনিংস উইনিং কজে আসায় খুশি পাঞ্জাব কিংসের তরুণ ব্যাটার প্রাভসিমরান সিং। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচের সেরা হয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো জানান যে কিভাবে এদিনের ম্যাচে নিজের ইনিংস গুছিয়েছেন। তরুণ ক্রিকেটারের মতে উইকেট বুঝতে সময় লেগেছে তাঁর, কিন্তু পরে তিনি বড় রান করার সিদ্ধান্ত নেন। বলতে গেলে, এদিন প্রাভসিমরানের মারকুটে ইনিংস আনন্দ দিয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক থেকে সুখ করে দলের সমর্থক, সকলকেই।
রবিবার, ৪ঠা মে, নিজেদের ঘরের মাঠ হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে লক্ষনৌ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামে শ্রেয়াস আইয়ার নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান তোলে পাঞ্জাব। সর্বোচ্চ ৯১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন প্রাভসিমরান সিং। এছাড়া অন্যান্য ব্যাটাররাও আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। জবাবে লক্ষনৌ নিজেদের কোটার ২০ ওভার শেষ করে ১৯৯ রানে এবং হারায় ৭টি উইকেট।
তবে গত ম্যাচের মতো এবারও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রাভসিমরানের ব্যাটিং। তিনিই হন ম্যাচের সেরা। তাঁর এই ৯১ রানের ইনিংসে ছিল ছটি চার এবং সাতটি ছয়। অর্থাৎ ৬৬ রান তিনি করেন বল বাউন্ডারির বাইরে করেই। তাঁর এই অসাধারণ ইনিংস দ্রুত ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে। সকল ক্রিকেটপ্রেমীই প্রশংসা করেছেন প্রাভসিমরানের এবং মনে করছেন যে ফর্ম ধরে রাখতে পারলে জাতীয় দলে জায়গা পাক্কা। আবার অনেকেই এটাও দাবি করেছেন যে এখনো অনেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে তাঁকে। সবমিলিয়ে, প্রাভসিমরান হয়ে উঠেছেন টক অফ দা টাউন।
তবে প্রাভসিমরান নিজে কতটা খুশি এই ইনিংসে? এই প্রসঙ্গে তিনি বক্তব্য রাখেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। তরুণ ক্রিকেটারের বক্তব্য, “এটা বেশ দারুন একটা নক এবং দুটি পয়েন্ট আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি খুশি এটা উইনিং কজে আসে। যখন আমি সেট ছিলাম, তখন আমার ক্যাচ ফেলে। আমি সেখান থেকেই ক্যাপিটালাইজ করতে চেয়েছিলাম। প্রথমে উইকেটটা বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। একটু সময় নিয়েছিলাম এবং এরপরে ঠিক করি আমাদের ২০০ করতে হবে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাদের ব্যাটিং ইউনিট থেকে কেউ না কেউ উঠেই আসে প্রতিটা ম্যাচে এবং এটাও ভালো যে আমরা জিতছি।”