দেবজিৎ মুখার্জি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরও এখনও একটি প্রভাবশালী নাম রয়ে গেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। নিজের অধিনায়কত্বের জোরে যেভাবে তিনি ভারতকে তিনটি আইসিসি ট্রফি দিয়েছেন, তা এখনো লেগে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে। ক্যাপ্টেন কুলের জনপ্রিয়তা এতটাই যে এখনো তাঁকে এক ঝলক দেখতে ভীর জমান সকলে, সে স্টেডিয়ামে হোক কি অন্য জায়গায়। সবমিলিয়ে, এখনো ভারতবাসীদের মনে রাজ করছেন মাহি।
তবে এই সবকিছুর মাঝেও একটি প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই ওঠে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও, ঠিক কি কারনে আইপিএল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ধোনি। যদিও মাহির এই সিদ্ধান্তের জন্য একেক সময়ে তাঁকে পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখে। কিন্তু এবার কারণটি প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর সতীর্থ ভাজ্জি, ওরফে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা স্পিনার হরভজন সিং। এক সাক্ষাৎকারে জানান ঠিক কিসের নেশায় এখনো পর্যন্ত আইপিএল খেলছেন মাহি।
ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ভাজ্জি এবং একটি মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন। হরভজন বলেন, “ওর সাথে রিসেন্টলি আমার এক বিয়েবাড়িতে দেখা হয়। তখন আমি ওকে জিজ্ঞেস করি যে তুমি যেটা করছ সেটা কি কঠিন নয়? এরপর ও আমাকে জবাব দেয় যে এটা কঠিন হলেও ও সেটা পছন্দ করে। ধোনি আমাকে বলে যে ও এটা উপভোগ করে এবং বিকেল ৪টে থেকে ৫টা বাজলেই ও খেলতে যেতে চায়। ও সত্যিই এটা করতে চায়। এটা শোনার পর আমি ওকে বলি যে আপনার মধ্যে যদি খিদে থাকে, তাহলে আপনি চালিয়ে যাবেন খেলা।”
এরপর প্রাক্তন অধিনায়কের প্রশংসা করে হরভজন আরো বলেন, “এটা কঠিন মধ্যিখানে কোন টুর্নামেন্ট না খেলে আইপিএলে নামা। কিন্তু ও দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে এটা সম্ভব। শুধু টিকে নেই, ধোনি সমস্ত বোলারের বিরুদ্ধে এখনো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। একেবারে দাপট দেখায় তাদের বিরুদ্ধে। আইপিএল শুরু হওয়ার ২-৩ মাস আগে ও অনুশীলনে নামে এবং প্রচুর বল খেলে।”
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। নিজের প্রথম সাফল্য পান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ রানের একটি মারকুটে ইনিংস খেলে। তারপর একেক করে ম্যাচ উইনিং নক খেলতে থাকেন তিনি। তবে ২০০৭ সালে তাঁর নেতৃত্বে ভারত টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর এক নতুন অধ্যায় আসে ভারতীয় ক্রিকেটে। এরপর তিনি দেশকে উপহার দেন ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১১ সালে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিনি অবসর নেন ২০২০ সালে। তবে আইপিএল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।