দেবজিৎ মুখার্জি: ২৮তম লা লিগা জয়ের পর এক আলাদা সাজে সেজে উঠেছে গোটা বার্সেলোনা। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, একেবারে উৎসব পালন করছে স্পেনের এই অঞ্চল। খেতাব জয়ের দিনিই চেহারা পাল্টে গিয়েছিল সেখানকার স্টেডিয়ামের। তা দেখে বুঝাই যাচ্ছিল যে উদযাপনটা ঠিক কেমন হতে চলেছে এবং ঠিক তাই হয়। সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ অংশ নেন ক্লাবের এই সাফল্য উৎসবে।
বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, নিজেদের হোম গ্রাউন্ড আরসিডিই স্টেডিয়ামে স্প্যানিওলের বিরুদ্ধে খেলতে নামে বার্সেলোনা। সেদিনই ক্লাবের সমর্থকেরা অপেক্ষায় ছিলেন ট্রফি জেতার। সকলেই আশাবাদী ছিলেন যে ম্যাচটি বার্কার পকেটেই যাবে এবং অবশেষে সেটিই হয়। ২-০ গোলে ম্যাচ ও খেতাব নিজেদের নামে করতে সফল হন হ্যান্সি ফ্লিকের ছেলেরা। সৌজন্যে তরুণ স্প্যানিশ তারকা ল্যামিন ইয়ামাল এবং লোপেজের গোল। সবমিলিয়ে, একটি অসাধারণ জয় পায় ক্লাব এবং এর সঙ্গে আরও একবার স্প্যানিশ ত্রিমুকুট নিজেদের নামে করে নেয় তারা।
ফাইনাল উইসেল বাজতেই গোটা স্টেডিয়ামের চিত্র পাল্টে যায়। উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছে যায় বার্সেলোনার সমর্থকদের। বলতে গেলে, আনন্দে মেতে ওঠেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরা। সেই দৃশ্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে এবং এরপরই কমেন্টের মাধ্যমে বয়ে অভিনন্দনের বন্যা। প্রায় সকলেই প্রশংসা করেন ইয়ামালের। এমনকি দলের কোচ হ্যান্সি ফ্লিক পর্যন্ত, ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে, দাবি করেছেন যে তরুণ তারকা দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। যদিও জয় ক্রেডিট তিনি গোটা দলকেই দিয়েছেন।
তবে এই জয়ের রেশ এখনো কাটেনি। ভিক্টরি সেলিব্রেশন করতে বার্সেলোনার রাস্তায় ঢল নামে ক্লাবের সমর্থকদের। জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্যারেড শুরু হয় সন্ধ্যে ছটা নাগাদ। দলের ফুটবলাররা একটি ওপেন-টপ বাস থেকে ভক্তদের ওয়েভ করছিলেন। ৮ থেকে ৮০ সকলেই পাল্টা ক্লাব এবং ফুটবলারদের সমর্থনে স্লোগান তুলছিলেন। অনেকে আবার গানও গাইছিলেন। এমন দৃশ্য সমাজমাধ্যমগুলিতে ছড়াতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি। চোখের নিমেষে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে সমস্ত ফুটবলপ্রেমীরা আরো একবার অভিনন্দন জানান বার্সেলোনাকে। একাংশ দাবি করেন যে এটিই বার্সেলোনার সেরা দল। আরেকাংশের মতে এখনো বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ক্লাবের জন্য। তবে দিনের শেষে এই দৃশ্য মন ছুঁয়েছে সকলের।