ভারত-পাক যুদ্ধের আঁচ ক্রিকেটে! বাতিল ক্রাঞ্চ গেম

ভারত-পাক যুদ্ধের আঁচ ক্রিকেটে! বাতিল ক্রাঞ্চ গেম

দেবজিৎ মুখার্জি: ভারত-পাক যুদ্ধের আঁচ এবার পড়ল ক্রিকেটের ময়দানে। মাঝরাস্তায় বাতিল হল একটি গোটা ম্যাচ। এমনিতেই বৃষ্টির জেরে একঘন্টা দেরিতে শুরু হয় শ্রেয়াস আইয়ার নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংস ও অক্ষর প্যাটেল নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। তার উপর ম্যাচ চলাকালীন আলো নিভে যায় স্টেডিয়ামে। ঘটনাকে ঘিরে চরম চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেডিয়াম ও তার আশেপাশের এলাকায়। পাশাপাশি, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। সবমিলিয়ে, রীতিমতো হইচই পড়ে যায় চারিদিকে।

বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে একটি ক্রাঞ্চ গেম খেলতে নামে পাঞ্জাব ও দিল্লি। বৃষ্টির কারণে টস হতে দেরি হয়। নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাঞ্জাব। দলকে দুর্দান্ত শুরু দেন দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আরিয়া ও প্রভসিমরান সিং। ইনিংস অর্ধেক রাস্তা পেরানোর পর, অর্থাৎ দশম ওভার শেষ হওয়ার পর, প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্রিয়াংশ। এরপর যখন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট করতে নামেন, তখন হঠাৎ আলো নিভে যায় গোটা স্টেডিয়ামে।

এই ঘটনা ঘটতেই চিন্তার ছায়া নেমে পড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের উপর। এরপর দর্শক থেকে শুরু করে আইপিএল আধিকারিক সকলকেই বলা হয় মাঠ ছাড়ার কথা। সকলেই সেই নির্দেশ মানেন এবং স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের সবরকমভাবে সাহায্য করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ম্যাচ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ দর্শকেরা স্টেডিয়ামের বাইরে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন। পাশাপাশি, তাদের তরফ থেকে তোলা হয় ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও। সেই দৃশ্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভাইরাল হয়। সকলেই কমেন্টে দাবি করেছেন যে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার পাকিস্তানকে।

ঘটনা প্রসঙ্গে এক সমর্থক বলেন, “যখন শ্রেয়াস আইয়ার মাঠে প্রবেশ করেন, তখন নিভে যায় উত্তর-পূর্বের ফ্লাডলাইটটি। এরপর পূর্ব দিকেরটাও নিভে যায়। দ্বিতীয়টি হওয়ার পর ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়েন। আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের চলে যেতে বলেন। ম্যাচটা বাতিল তখনও বুঝতে পারিনি। বেরোনোর সময় কোনোরকম সমস্যা হয়নি। চারপাশে আলো ছিল। অনেককেই তখন ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছিল। বন্ধুরা অন্য স্ট্যান্ডে ছিল। ওদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ওদেরও কোনরকম কোন সমস্যা হয়নি। দক্ষতার সঙ্গেই ব্যাপারটি দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সশস্ত্র সেনারাও রাস্তায় ছিল।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *