দেবজিৎ মুখার্জি: রবিবার, ২৩শে মার্চ, এক দুর্দান্ত ম্যাচের সাক্ষী হয় গোটা রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দুই দল মিলিয়ে এক ম্যাচে মোট ৪০ ওভারে হয় ৫২৮ রান। বলতে গেলে, রানের বন্যা বয়ে আইপিএল ২০২৫এর দ্বিতীয় ম্যাচে – হায়দ্রাবাদ বনাম রাজস্থান। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি নিজেদের নামে করে হোম টিম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৪৪ রানে, তবে রাজস্থানের ব্যাটিংও প্রশংসা কুড়িয়েছে সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের। একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। হায়দ্রাবাদের দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রার জবাবে রাজস্থান শেষ করে ২৪২ রানে।
তবে এই ম্যাচের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন প্রাক্তন এমআই তারকা ঈশান কিশান। আইপিএলে নিজের প্রথম শতরানটি পেয়েছেন তিনি গতকাল। এই বছর তিনি খেলছেন হায়দ্রাবাদের জার্সিতে। ৪৭ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল ১১টি চার এবং ৬টি ছক্কা। অর্থাৎ মোট ৮০ রান আসে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকেই। তিনিই হন ম্যাচের সেরা। ঈশানের ব্যাটিং গতকাল ছিল টক অফ দা টাউন। ৮ থেকে ৮০, প্রায় সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন এই ইনিংসে। অনেকে আবার এমনটাও দাবি করছেন যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ঈশান ফের জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পেতে পারেন। যদিও এর জন্য এখনো অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। অর্থাৎ বাকি ম্যাচগুলিতেও একইভাবে ভালো পারফর্ম করে দেখাতে হবে।
ঈশান অবশ্য এই ইনিংসের জন্য ধন্যবাদ জানান নিজের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন যে দলের পরিবেশ, বিশেষ করে কোচ ও অধিনায়ক, তাঁকে বেশ সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, “দেখুন সত্যি বলতে নার্ভাসনেস একটু হলেও ছিল। তবে দলের যেমন শান্ত পরিবেশ, বিশেষ করে আমাদের কোচ এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, আমার মনে আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওরা আমাকে পরামর্শ দেয় যে আমাকে নেমে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী ন্যাচারাল গেম খেলতে হবে এবং আউট হয়ে যাওয়ার ভয় যেনো না পাই।”
এরপরই প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কিছু বক্তব্য রাখেন ঈশান। তিনি বলেন, “আমি মাঝে অনেকটা সময় পেয়েছিলাম নিজেকে প্রস্তুত করার। পরিশ্রম করেছিলাম নেটে। নিজের ব্যাটিংয়ের উপর কাজ করেছিলাম। প্রস্তুতি ভালোই ছিল। আমি কনফিডেন্ট বোধ করছি। কারণ আপনারা দেখেইচেন যে অভিষেক বা হেড, কেউই থামেনা। তাতে কি হয় আপনি তিন নম্বরে নামলে কিছুটা সময় পান নিজেকে সেট করার জন্য। আপনি উপরের দিকেই নামুন কি নিচের দিকে, আপনি এমন একটা সময় নামেন যখন স্কোরবোর্ডে অলরেডি অনেক রান তোলা হয়ে গেছে। যদিও প্রতিটা ম্যাচে এমন টোটাল পাওয়া সহজ নয়।”