নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের অপেক্ষা হল শেষ। অবশেষে স্বপ্ন হলো পূরণ। কড়া জবাব দেওয়া হলো সমালোচকদের। এতদিনের স্বপ্ন সফল করতে পারলেন ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার হ্যারি কেন। নিজের ফুটবল জীবনের প্রথম খেতাব পেলেন তিনি। তাঁর দল বায়ার্ন মিউনিক জার্মানির সেরা ক্লাবের তকমা পেলো। তারা জিতল বুন্দেসলিগা। বায়ার্ন লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে ফ্রেইবার্গ শেষ করল ড্র দিয়ে। ম্যাচের ফলাফল ২-২। এই নিয়ে মোট ৩৪ বার এই খেতাব নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হলো তারা।
ফুটবল ময়দানে রোনাল্ডো-মেসিদের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সফল হয়েছেন ইংল্যান্ড ফুটবল দলের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। তাঁর পায়ে বল যাওয়া মানেই ধরে নেওয়া হয় যে এবার দল বা ক্লাব পেতে চলেছে একটা গোল। তিনি আক্রমণে নামলেই রীতিমতো হাবুডুবু খেতে দেখা যায় অপজিশনের রক্ষণভাগকে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বহু ডিফেন্ডারের কাছে হ্যারি কেন আতঙ্কের আরেক নাম। রোনাল্ডো-মেসিদের মতো তাঁরও ভক্ত সংখ্যা অজস্র। সবমিলিয়ে, তাঁর দল ও ক্লাবের সমর্থকদের কাছে নয়নের মনি।
তবে এই সাফল্যের মাঝেও হ্যারি কেনকে একটি বিষয় নিয়ে কথা মাঝেমধ্যেই শুনতে হতো। অনেকে বলতেন যে তারকা ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজের দল বা ক্লাবকে খেতাব জিতিয়ে দিতে পারেনি। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিজের অবস্থানও জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, অনেকেই কথা বলেন যে তিনি কোন খেতাব জিততে পারেননি, তবে কয়েকজনকে চুপ করিয়ে দিলে ভালো হয়। তারকা ফুটবলারের এমন মন্তব্য অনেকে যেমনি সমর্থনও করেছিলেন, তেমনি অনেকে ভালোভাবেও নেননি। সবমিলিয়ে, কিছুদিন ধরে এক বড় আলোচনার বিষয় ছিলেন কেন।
তবে এবার সেই স্বপ্ন সফল হয়। নিজেদের ঘরের মাঠে লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ফ্রেইবার্গ। প্রথমদিকে দুটি গোল খাওয়ার পর ম্যাচ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে লেভারকুসেন। অবশেষে ১০ মিনিট বাকি থাকতে তারা পাল্টা দুটি গোল দেয় এবং পরাজয় এড়াতে সফল হয়। তবে এই ড্র চওড়া করে মিউনিক সমর্থকদের মুখের হাসি। এরপরই ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি ক্যাপশন সহ ছবি পোস্ট করে ক্লাবের এই সাফল্য উদযাপন করেন। তারপরই শুরু হয় কমেন্টের বন্যা। অনেকে দাবি করেন যে নিন্দুকদের জবাব দিতে সফল হয়েছেন হ্যারি। আবার অনেকে এটাও দাবি করেন যে এখনও লম্বা পথ অতিক্রম করতে হবে তাঁকে। তবে দিনের শেষে হ্যারির এই সাফল্যে খুশি হয়েছে বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা।