দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলে প্রথম ম্যাচে এই ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। উদ্বোধনী ম্যাচে নাইটদের পরাজিত করেছে আরসিবি। তাও আবার বড় ব্যবধানে। ৭ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলেছেন বিরাট কোহলিরা। অন্যদিকে, কঠিন লড়াই দেওয়া সত্ত্বেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিজেদের নামে করতে সফল হয়নি আরআর। পাহাড়ের সমান লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪৪ রানে হারে তারা। সুতরাং দুই দলের কাছেই তাদের পরবর্তী ম্যাচ জেতা অত্যন্ত জরুরি। শুধু পয়েন্ট তালিকায় খাতা খোলার জন্যই নয়। ছন্দে ফেরার জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ তাদের আসন্ন ম্যাচ। বলা যায়, একপ্রকার ক্রাঞ্চ গেম দুই শিবিরের জন্য।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এই দুই দল – কলকাতা ও রাজস্থান – মুখোমুখি হবে একে অপরের। অসমের গুয়াহাটিতে খেলা হবে এই ম্যাচ। সুতরাং পিচ খুব একটা ফ্যামিলিয়ার হবেনা দুপক্ষের কাছেই। জয়কে পাখিরচোখ করে পুরোদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে দুই শিবির। পাশাপাশি, কিভাবে ম্যাচ জেতা যায়, তা নিয়েও পরিকল্পনায় লেগেছে দুপক্ষ। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে ম্যাচ বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে এবং দুই দলই একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেনা। ম্যাচ জেতার জন্য নিজেদের সবটা মাঠে উজার করে দেবেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। অনেকে মনে করছেন যে এই ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে দুই দলে।
তবে এই বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ এনকাউন্টারের আগে সোমবার সন্ধ্যায় অনুশীলন চলাকালীন কেকেআর মেন্টর ডোয়েন ব্রাভোর সঙ্গে ফুটবল খেলতে দেখা গেল দলের তরুণ ক্রিকেটার অংক্রিশ রঘুবংশীকে। ম্যাচ ঘিরে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ম্যাচ আমাদের জিততে হবে এবং এখান থেকেই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে টুর্নামেন্টে।” এছাড়া দলের আরেক তরুণ ও তারকা পেসার হর্শিত রানাও নিজের অবস্থান জানান এই প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, “দলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে বেশ ঝরঝরে রয়েছেন। আশা করছি যেই অ্যাওয়ে ম্যাচ আমরা খেলবো গুয়াহাটিতে, তাতে আমরা বেশ ভালো ফলই করবো।” অন্যদিকে, রাজস্থানের অস্থায়ী অধিনায়ক রিয়ান পাড়াগও নিজের মতামত জানান আসন্ন এই ম্যাচকে ঘিরে। তিনি বলেন, “গত ম্যাচে আমাদের আরো ভালো করা উচিত ছিল বল হাতে। তবে আমরা তা করতে পারিনি। কিভাবে উন্নতি করা যায়, সেটা আমাদের বসে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। আগের ম্যাচে কি হয়েছে, সেটা ভুলেই আমাদের পরের ম্যাচ খেলতে নামতে হবে।” এবার দেখার বিষয় যে শেষহাসি হাসে কোন দল। তা বলবে সময়।