দেবজিৎ মুখার্জি: মন ভেঙেছে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের। এএফসি এশিয়ান কাপের কুয়ালিফায়ার পর্বের প্রথম ম্যাচে যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ম্যাচ শেষ করেছে, তাতে বেশ হতাশ হয়েছেন অনেকে। বলা যায়, ঘরের মাঠে এমন হতাশাজনক পারফরমেন্স আশা করতে পারেননি অনেকে। যদিও ম্যাচ শেষ হয়েছে বিনা কোন ফলাফলে। কিন্তু দলের ফুটলারদের ছন্দহীন ও দিশাহীন খেলা জল ঢেলেছে অনেকের আশায়। শুধু ফুটবলপ্রেমীদের নয়, দলের কোচ মানোলো মার্কেজ পর্যন্ত অসন্তুষ্ট এই ম্যাচের স্কোরলাইন নিয়ে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন যে কতটা হতাশ হয়েছেন তিনি এই পারফরমেন্সে।
এএফসি এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করতে হলে বিশ্বকাপের মতোই অর্জন করতে হয় যোগ্যতা এবং সেই অনুযায়ী খেলতে হয় ম্যাচ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারত খেলতে নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবে যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তার ঠিক উল্টোটাই হয়েছে। ম্যাচ জিততে তো পারেনি, বরং কষ্ট করে ড্র করেছে দল। গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে ম্যাচ। একটা সময়ে এসে প্রায় গোল খাচ্ছিল ভারত, তবে ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় তারা। সবমিলিয়ে, গোটা ম্যাচজুড়ে দলের পারফরমেন্স একেবারেই ‘আপটু দা মার্ক’ ছিলোনা এবং এর জেরে হতাশ হয়েছেন অনেকে।
সেই তালিকায় রয়েছেন দলের কোচ মানোলো মার্কেজও। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন তিনি এবং সেখানে জানান যে হতাশের চেয়েও বেশি ক্ষুব্ধ এমন ফুটবলে। কোচের বক্তব্য, “এমন বিশ্রী পারফরমেন্সে শুধু হতাশ নই, ক্ষুব্ধও। গোল খাইনি এটাই আমাদের ভাগ্য ভালো। এটা সবচেয়ে কঠিন সাংবাদিক বৈঠক আমার কোচিং জীবনে। খুবই বাজে খেলেছি আমরা। যদিও দলের ফুটবলাররা চেষ্টা করেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে সেটা এনাফ ছিলোনা জয়ের জন্য।”
ম্যাচ শুরু হওয়ার দশ সেকেন্ডের মধ্যে একটি ভুলের জন্য বিশাল বিপদ ঘটতে পারতো। গোলরক্ষক বিশাল কেথের ভুলে গোল খেতো ভারত। তবে ভাগ্য সহায় হয় দলের। লিড নিতে সফল হয়নি বাংলাদেশ। এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মার্কেজ। তিনি বলেন, “খুব একটা কিছু বলবোনা এই বিষয় নিয়ে।” পাশাপাশি, প্রশংসা করেন দলের তারকা ফুটবলার লিষ্টন কোলাসোকে। তিনি বলেন, “ও ভালোই খেলেছে। কিন্তু সেটা জয়ের জন্য কাফি ছিলোনা।” এবার দেখার বিষয় যে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে কেমন পারফর্ম করেন দলের ফুটবলাররা। তাঁরা কি পারবে ভারতকে যোগ্যতা অর্জন করাতে? কি হবে শেষ পর্যন্ত? তা বলবে সময়।