“দলের জয়তে বেশি খুশি” পার্পেল ক্যাপ পেয়ে সোজাসাপটা প্রসিধ

“দলের জয়তে বেশি খুশি” পার্পেল ক্যাপ পেয়ে সোজাসাপটা প্রসিধ

দেবজিৎ মুখার্জি: “দলের জয়তে বেশি খুশি” গুজরাট বনাম হায়দ্রাবাদ ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন গুজরাটের তারকা পেস বোলার প্রসিধ কৃষ্ণ। এদিন তাঁর দাপুটে বোলিংয়ে রান তাড়া করতে অসফল হয় হায়দ্রাবাদ। ম্যাচের সেরা হন তিনি। নিজের কোটার চার ওভার বল করে তিনি দেন মাত্র ১৯ রান এবং নিজের ঝুলিতে তোলেন দুটি উইকেট। তাঁর বিধ্বংসী বোলিংয়ের শিকার হন দলের দুই মারকুটে বিদেশি তারকা ট্র্যাভিস হেড ও হেনরিক ক্ল্যাসেন। বলতে গেলে, এদিন তাঁর পারফরম্যান্স গুজরাটকে জয়ের পথে ফিরিয়ে এনেছে। 

শুক্রবার, ২রা মে, নিজেদের ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সানরাইজারস হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামে গুজরাট টাইটানস। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ। প্রতিবারের মতো এই ম্যাচেও নেমেই মারমুখী রূপ ধারণ করেন দলের দুই ওপেনার অধিনায়ক শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন। ফের দুজনে একটি দুর্দান্ত স্টার্ট দেন দলকে। সপ্তম ওভার শেষ হওয়ার আগে যখন দলের স্কোর ৮৭ এবং ব্যক্তিগত স্কোর ৪৮, তখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সুদর্শন। এরপর বাটলারকে নিয়ে একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন গিল। ৭৬ রান করে আউট হন গুজরাট ও অধিনায়ক এবং বাটলারকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখানো হয় ৬৪ রানে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকে হারিয়ে ২২৪ রান তোলে গুজরাট। সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তোলেন জয়দেব উনারকাত।

জবাবে ২২৫ রানের মতো বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালই হয় হায়দ্রাবাদের। তবে দলের স্কোর যখন ৪৯, তখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হেড। দ্বিতীয় উইকেটটি পরে ৮২ রানে ঈশান কিশানের রূপে। এরপর ক্লাসেনকে নিয়ে প্রায় ১৫ ওভার পর্যন্ত একটি পার্টনারশিপ গড়েন অভিষেক শর্মা। দলের তৃতীয় উইকেটটি পড়ে ১৩৯ রানে। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৭৪। ক্লাসেন করেন ২৩। এরপর দ্রুত উইকেট পড়তে শুরু করে। ২০ ওভার শেষে হায়দ্রাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৮৬। গুজরাটের হয় দুটি করে উইকেট তোলেন প্রসিধ কৃষ্ণ ও মহাম্মদ সিরাজ এবং একটি করে উইকেট পান ইশান্ত শর্মা ও জেরাল্ড কোয়েটজি। ‘প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ’এর পুরস্কার পান প্রসিধ কৃষ্ণ।

এদিন তাঁর কপালে ওঠে পার্পেল ক্যাপ। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে দলের জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই টুপির চেয়ে। প্রসিধ বলেন, “সত্যি বলতে আলাদা কিছু অনুভব করতে পারছিনা। দলের জয়তে বেশি খুশি। এটা আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দুটি বড় ব্রেক পাই এবং তারপর ম্যাচ জিতিনি। তাই এই ম্যাচ জেতাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিজের লেন্থ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম। সকলেই আমায় বেশ সাহায্য করেছে। আমাদের সঙ্গে অনেকেই রয়েছে যারা অনেক ক্রিকেট খেলেছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সঠিক এরিয়াতে বল করেছি।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *