“স্বপ্নেও ভাবিনি” ওয়াংখেড়েতে স্ট্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবেগে ভাসলেন রোহিত

“স্বপ্নেও ভাবিনি” ওয়াংখেড়েতে স্ট্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবেগে ভাসলেন রোহিত

দেবজিৎ মুখার্জি: “এটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি” ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের নামে স্ট্যান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওডিআই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখানেই শেষ নয়, হিটম্যান আরো জানান যে এই আনন্দ তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানান যে যখন এই গ্রাউন্ডে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলবেন তখন তাঁর অনুভূতি কেমন হবে। অবশেষে রোহিত প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি শরদ পাওয়ার এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে ধন্যবাদ জানান।

গতবছর টি২০ বিশ্বকাপ টিম ইন্ডিয়া নিজের ঝুলিতে তোলার পর এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। যদিও তিনি একা নন, অবসর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলিও। সম্প্রতি, একই ঘটনা ঘটে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত শর্মার অবসর নেওয়ার পাঁচদিন পরই অবসরের কথা ঘোষণা করেন বিরাট। অর্থাৎ, বলতে গেলে, এখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে শুক্রবার, ১৬ই মে, একটি বিশেষ দিন রোহিতের জন্য। যেই মাঠে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ছক্কা হাকিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছিলেন, সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হিটম্যানের নামে একটি স্ট্যান্ড উদ্বোধন করা হলো। 

রোহিতের নামে স্ট্যান্ড উদ্বোধন ঘিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মঞ্চ থেকে নিজের ক্রিকেট জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন রোহিত। উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি তুলে ধরেন নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা এবং জানেন কিভাবে এই সাফল্য পেয়েছেন। পাশাপাশি, আগামীদিনে এই মাঠে খেলা প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য রাখেন। বেশ আবেগে ভাবছিলেন সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া তারকা। রোহিত নিজেও কতটা খুশি হয়েছেন, সেটা তাঁর বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।

রোহিত বলেন, “আমার পরিবারের লোকেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এটা আরো বিশেষ হতে চলেছে। আমি কৃতজ্ঞ ওরা যা ত্যাগ স্বীকার করেছে। স্বপ্নেও ভাবিনি এমন একটা দিন আমার জীবনে আসবে। ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ২১ তারিখ যখন আমি খেলতে নামবো, তখন সেটা অসাধারণ হবে আর যখন দেশের জার্সিতে খেলতে নামবো, তখন সেটা বিশেষ হবে। এটি একটি ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম এবং অনেক স্মৃতি তৈরি হয়েছে এখানে। আমার বিশেষ ধন্যবাদ পাওয়ার সাহেব এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *