নিউজ ডেস্ক: যখনই ফুটবলের কথা ওঠে, তখনই কোন না কোনভাবে প্রসঙ্গ উঠেই আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই দর্শকদের থেকে শুরু করে সমর্থকদের, সকলেরই উন্মাদনা পৌঁছে যায় চরম পর্যায়ে। পাশাপাশি, ফুটবলারদের উত্তেজনাও থাকে এক আলাদা মাত্রার। সবমিলিয়ে, এই ম্যাচ ঘোষণা হওয়া মানেই সমগ্র ফুটবল-জগতে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়া।
শীঘ্রই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে। তার আগে নিজেদের সবরকমভাবে প্রস্তুত করছে দুই দল। নিজেদের সেরাটা দিতে ঘন্টার পর ঘন্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে অনুশীলন। উদ্দেশ্য একটাই এবং সেটা হলো ম্যাচে জয় পাওয়া। সেই কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই যাবতীয় সব পরিকল্পনা করে চলেছে দুজনে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নামার আগে দুই শিবিরেই লাগলো ধাক্কা। কি এমন ঘটলো? এই ক্রাঞ্চ গেমে দেখা যাবেনা দুই দলের এক তারকা ফুটবলারকে। তাঁরা কারা? আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারবেন না লিও মেসি এবং ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামবেন না নেইমার। ব্যাপারটা জানাজানি হতেই মন ভেঙেছে দুই দলের সমর্থকদের। তবে তা সত্ত্বেও তাঁদের এই ম্যাচের প্রতি আগ্রহ একটুও কমেনি।
কিন্তু ঠিক কি কারনে ম্যাচ খেলতে পারবেন না দুই তারকা? ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে গত ২রা মার্চ ব্রাগান্তিনোর বিরুদ্ধে বাঁ-পায়ের উরুতে নেইমার যে চোট পেয়েছিলেন, তা বেশ গুরুতর। এমনকি নেইমার নিজেও নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মনে হচ্ছিল প্রত্যাবর্তনের অনেকটাই সামনে আমি পৌঁছে গেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান জার্সিটি এই মুহূর্তে আমি পড়তে পারবোনা। অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে আমাদের। আমার ফিরে আসার ইচ্ছাটা কতটা, সেটা সকলেই জানে। কিন্তু অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা কোনরকম ঝুঁকি নেবোনা। আমি মনে করি যে আঘাত সারিয়ে নেওয়ার জন্য যা দরকার, সেগুলি করা ভালো।”
অন্যদিকে, তারকা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মেসির না খেলা প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে গত রবিবার আটলান্টা ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন মেসির বাঁ পায়ের পেশিতে ব্যথা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি পুরো ম্যাচটি খেলেন। এছাড়া মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “আমাদের এটাই চেষ্টা যেনো মেসি অতিরিক্ত চাপ থেকে দূরে থাকে। ওর সমস্যা যাতে আর কোনোভাবে না বাড়ে, সেদিকেও আমরা নজর রেখেছি। এই ব্যাপারে ক্লাবের তরফ থেকে লাগাতার যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আর্জেন্টিনার মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে।”