কোন স্ট্র্যাটেজিতে কলকাতা বধ? জানালেন পন্টিং

কোন স্ট্র্যাটেজিতে কলকাতা বধ? জানালেন পন্টিং

দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলে দারুন পারফর্ম করে চলেছে প্রীতি জিন্টার দল, ওরফে পাঞ্জাব কিংস। এখনো পর্যন্ত ছটি ম্যাচ খেলে তাদের মোট সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জয় এবং দুটি পরাজয়। এই মুহূর্তে তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ নম্বরে। বেশ ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়ে চলেছেন দলের সকল ক্রিকেটার। বলা যায়, এই বছর তাদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে দেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের। সবমিলিয়ে, এক দুর্দান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা পাঞ্জাব দল।

তবে এই জয়ের পাশাপাশি তারা দিয়েছে চলতি আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক। কি সেই চমক? একেবারে পরাজয়ের মুখ থেকে তারা ছিনিয়ে এনেছে জয়। তাও আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাট করে তারা অলআউট হয়ে যায় ১১১ রানে। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন যে ম্যাচ কেকেআরের পকেটে যাবে। কিন্তু ঘটলো সম্পূর্ণ উল্টোটা। ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হলো পাঞ্জাব কিংস। ১০০ রানও করতে পারেনি শাহরুখ খানের ছেলেরা। ৯৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় গোটা দল। সেদিন সকলকে হাবুডুবু খাইয়েছিলেন দলের তারকা স্পিনার যূজবেন্দ্র চাহাল। তিনি একাই তুলেছিলেন ৪টি উইকেট। 

তবে এই ম্যাচ সহজে আসেনি পাঞ্জাবের দখলে। সামান্য কটি রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে তাদের করতে হয়েছিল একাধিক পরিকল্পনা। মাথা লাগাতে হয়েছিল দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার থেকে শুরু করে কোচ সকলকেই। এবার এই পর্দাটি ফাঁস করলেন হেড কোচ রিকি পন্টিং। একটি ভিডিওতে তিনি এই ম্যাচে জয়কে ঘিরে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে যাবতীয় সব বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি, দলের ক্রিকেটারদের মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শের কথাও জানান প্রাক্তন অজি তারকা। 

ভিডিওতে রিকি পন্টিংকে বলতে শোনা যায়, “আমরা আর্শদ্বীপের পরিবর্তে প্রথমে মার্কো জ্যানসেনকে বল করতে দিয়েছিলাম। এর আগে ও নারিনকে পাঁচটা বল করেছিল এবং তার মধ্যে দুবার আউট করেছিল। ম্যাচের আগে পরিকল্পনা করার সময় আমরা এটা করবো বলে ঠিক করেছিলাম। সেই কারণে নারিনের বিরুদ্ধে জ্যানসেনকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল শ্রেয়াস এবং সেই পরিকল্পনা কাজে লাগে। নারিনকে আউট করে কেকেআরকে বড় ধাক্কা দেয় জ্যানসেন।”

পন্টিং আরো বলেন, “আমি দলের সমস্ত ক্রিকেটারকে লড়াই করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি ওদের বলেছিলাম যে কোনভাবেই যেন ওরা হারার আগে হার না মানে। ওদেরকে নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছিলাম এবং সেই জিনিসটাই আমরা দেখতে পাই ম্যাচে। এছাড়া আমরা সাহায্য পেয়েছি পিচ থেকেও। আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে আমরা কেকেআরকে পরাজিত করেছি। ঠিক সেই কারণে এই জয় আরো বেশি আনন্দের আমার কাছে।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *