হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে নেশন্স লিগের সেমিতে পর্তুগাল ও স্পেন

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে নেশন্স লিগের সেমিতে পর্তুগাল ও স্পেন

নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হাড্ডাহাড্ডি খেলা উপহার দিল নেশান্স লিগ। এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস্কে হারালো পর্তুগাল ও স্পেন। এই জয়ের সুবাদে দুই দলই পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে। দ্বিতীয় লেগে ডেনমার্ককে ৫-২ গোলে হারায় পর্তুগাল। দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগাল জেতে ৫-৩ গোলে। অন্যদিকে, টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায় স্প্যানিশ ও ডাচ বাহিনীর ম্যাচ। অবশেষে সেই ম্যাচের ফলাফল হয় ৫-৪। সবমিলিয়ে, একই দিনে গোটা ফুটবল-জগত সাক্ষী হয়েছে দুটি টানটান উত্তেজনা ভরা ম্যাচের।

এই দুই ম্যাচ এখন এক বড় আলোচনা বিষয়ে হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। বিশেষ করে সেই ব্যবহারকারীদের টাইমলাইনে, যারা ‘ডাই হার্ড’ ফুটবল ফ্যান। প্রায় অধিকাংশেরই বক্তব্য দলগুলি যেভাবে পারফর্ম করছে তাতে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বেশ কঠিন হবে সকলের কাছে। আবার অনেকে আলাদা মতও জানিয়েছেন এই জয় প্রসঙ্গে। তবে সবমিলিয়ে, স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক থেকে শুরু করে বাড়িতে বসে খেলা দেখা দর্শক, সকলেই বেশ উপভোগ করেছেন ম্যাচ দুটি।

পর্তুগাল ও ডেনমার্কের মধ্যে প্রথম লেগে এগিয়ে থাকে ডেনমার্ক ১-০ ফলাফলে। সুতরাং ঘুরে দাঁড়াতে এবং সেমিফাইনালে পৌঁছাতে হলে জয় পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল পর্তুগালের জন্য। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল তুলে ধরে পর্তুগাল। যদিও ম্যাচের প্রথম কয়েক মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে ৩৮ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের করা আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। প্রথমার্ধে রোনাল্ডো বাহিনীরাই এগিয়ে থাকেন ১-০। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বইতে শুরু করে গোলের বন্যা। ৫৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরার নিসেন এবং ফের এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। কিন্তু এরপরই কিছুক্ষণের জন্য ভিলেন হয়ে থাকা রোনাল্ডো ফের হয়ে ওঠেন হিরো। ৭২ মিনিটের মাথায় তিনি গোল করেন এবং পর্তুগালকে খেলায় ফেরান। ৭৬ মিনিটে আবার ডেনমার্ক এগিয়ে যায় এরিকসনের গোলে। তবে রাখে হরি মারে কে। ৮৬ মিনিটে ট্রিনকাওয়ের গোলে ইকুয়ালাইজ করে পর্তুগাল। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালে ফের ৯১ মিনিটে গোল হাকান ট্রিনকাও এবং ডেনমার্কের কামব্যকের আশায় শেষ আঘাতটি দেন র‍্যামোস। অবশেষে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জয় পায় পর্তুগাল এবং পৌঁছায় সেমিতে। 

অন্যদিকে, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচের প্রথম লেগ শেষ হয় ২-২ গোলে। সুতরাং সেমিতে যেতে হলে দুই দলেরই জেতা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল এই ক্রাঞ্চ গেমে। ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাটাকিং মোডে নামে স্পেন। অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ওয়ারজাবাল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ডাচদের ম্যাচে ফেরান ডিপে। ফের ৬৭ মিনিটে ওয়ারজাবালের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ৭৯ মিনিটে ডাচ বাহিনী ঘুরে দাঁড়ান মাটসেনের গোলে। এরপর দুই দলই একটি করে গোল করেন ১০৩ এবং ১০৯ মিনিটে। স্পেনের তরফ থেকে করেন ইয়ামাল এবং নেদারল্যান্ডসের তরফ থেকে করেন সিমন্স। অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকার পর্যন্ত এবং তাতে ৫-৪ গোলে দিতে সেমির টিকিট পান স্পেন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *