দেবজিৎ মুখার্জি: ভারত-পাক যুদ্ধ আবহাওয়ায় ঠিক কেমন ছিল পাকিস্তানে খেলতে আশা বিদেশি ক্রিকেটারদের মনের অবস্থা? এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা জানালেন বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। তিনি জানান বেশ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। এখানেই শেষ নয়, তিনি এটাও জানান যে এক তারকা ক্রিকেটার রীতিমতো ভয়তে কেঁদে ফেলেছিলেন এবং তাঁকে সান্তনা দেন বাকিরা। সবমিলিয়ে, এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভয়তে কেটেছিল প্রতিটা মুহূর্ত।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলার ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়েছিল গোটা ভারতবর্ষ। এখানেই শেষ নয়, এর তীব্র নিন্দা জানায় অন্যান্য দেশগুলিও। এরপর পরিস্থিতি এতটাই উগ্র হয়ে ওঠে যে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে আবহাওয়া তৈরি হয়। পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চলে হামলা চালায় ভারত, যা দেখে আনন্দে মেতে ওঠেন দেশের জনতা। সকলেই সমাজমাধ্যম থেকে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন এবং দাবি করেন যে একেবারেই ঠিক কাজ করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। সবমিলিয়ে, এক আলাদা পরিবেশ তৈরি হয় দেশে পাকিস্তানের উপর হামলা হওয়ার পর।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে ক্রিকেট। অবস্থা ভালো না বুঝে আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফ থেকে। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যায় পিএসএলও। যদিও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে আইপিএলের বাকি পর্ব ইংল্যান্ডে করার প্রস্তাব দেয়। তবে দেশের মাটিতেই খেলাতে ইচ্ছুক বোর্ড। অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী না করে দেয় পিএসএলে, যা দেখে রীতিমত ব্যঙ্গ করা শুরু করেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। তবে দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাই মুখিয়ে রয়েছে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দিকে।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে খেলতে এসে বিদেশি তারকারা কতটা ভীত ছিলেন, সেই ব্যাপারে জানালেন বাংলাদেশের এক তরুণ ক্রিকেটার। নাম রিশাদ হোসেন। দুবাই বিমানবন্দরে তিনি বলেন, “এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম যে বিমানবন্দরে মিসাইল আঘাত হানা হয়েছে টেক-অফের ২০ মিনিট পর। খবরটা শোনার পর ভয় পেয়েছিলাম। আমার পরিবার খুব চিন্তিত ছিল। আমি চেষ্টা করেছি তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার। নাহিদ রানা টেনশনে ছিল। আমি ওকে বলি টেনশন না নিতে। আমাদের কিচ্ছু হবেনা। কিন্তু স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড উইস, টম কুরানরা বেশ ভয় পেয়েছিল। দুবাইতে আসার পর ড্যারিল মিচেল বলে আর পাকিস্তানে খেলতে যাবোনা। প্রথমে এয়ারপোর্ট বন্ধ শুনে টম কুরান বাচ্চাদের মতো কাঁদতে লাগে। ২-৩জন লাগে ওকে সামলাতে।”