দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: “ডট বল খেলা নিয়ে চিন্তিত ছিলামনা” পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচের সেরা হওয়ার পর রাসেলের মুখে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসী সুর। এদিন ২৫ বলে ৫৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি কেকেআরকে একটি বড় রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সাহায্য করেন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাসেলের এই মারকুটে ইনিংস বড় স্বস্তি দিয়েছে নাইট শিবিরকে। বলতে গেলে, এদিন রাসেল নিজের নিন্দুকদেরও জবাব দিয়েছেন নিজের ব্যাটের দ্বারা। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে নাইট সমর্থকদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন তিনি।
রবিবার, ৪ঠা মে, নিজেদের ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসে রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামে অজিঙ্কা রাহানে নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন ব্যাট হাতে টিম ম্যানেজমেন্ট যা চেয়েছিল, সেটা করে দেখাতে সফল হয়েছেন দলের ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা চার উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৬ রান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে অল্পের জন্য ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে রিয়ান পরাগদের। মাত্র ১ রানে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে কেকেআর এবং এর জেরে তারা এখনো টিকে রয়েছে টুর্নামেন্টে।
তবে জয়ের চেয়েও বেশি দল এবং সমর্থকদের মুখের হাসি চওড়া করেছেন দলের তারকা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ২৫ বলে ৫৭, যার মধ্যে রয়েছে চারটি চার এবং ছটি ছায়। অর্থাৎ মোট ৫২ রান এসেছে বল মাঠের বাইরে করা থেকেই। তাঁর এই ইনিংস তাঁকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার। দীর্ঘদিন ধরে রাসেলকে নিয়ে যে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সমাজমাধ্যমগুলিতে, তার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি বলে মনে করছেন বহু ক্রিকেটপ্রেমী। সবমিলিয়ে, রাসেলের মাসেল করে দিয়েছে কাজ। এখনো টুর্নামেন্ট জেতার আশা বেঁচে রয়েছে কেকেআরের।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাসেল নিজের এই ইনিংস প্রসঙ্গে অবস্থান জানান। তিনি বলেন, “আমরা সকলেই জানি এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। এখনো চারটি ম্যাচ বাকি এবং সেগুলি চারটি ফাইনালের মতোই। পারফরম্যান্স ও জয় নিয়ে খুশি। যেহেতু আমার হাতের সময় ছিল, তাই আমি ডট বল খেলা নিয়ে চিন্তিত ছিলামনা। নেমেই চালিয়ে খেলা সহজ না। এই উইকেট কঠিন। তবে আমি খুশি শেষে বাউন্ডারি হাকাতে পেরে। রিঙ্কুও কয়েকটি পায় শেষে। স্কোরবোর্ড দেখে বোঝা যায় পরিস্থিতি এবং কি করতে হবে।”