দেবজিৎ মুখার্জি: যেমনটা চেয়েছিল ঠিক তেমনভাবেই আইপিএল ২০২৫ অভিযান শুরু করে পাঞ্জাব কিংস। প্রথম ম্যাচেই তারা খাতা খুলতে সফল হয়। তাদের হাতে পরাজিত হয় গুজরাট টাইটানস। যদিও এই জয় একেবারেই সহজ ছিলোনা দলের কাছে। ১১ রানে জিতেছে তারা। পাঞ্জাবের বোলারদেরও বেশ হাবুডুবু খাওয়ায় গুজরাটের ব্যাটিং অর্ডার। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল যে ম্যাচটা গুজরাটই নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয় নিজেদের নামে করতে সফল হয় পাঞ্জাব। দলের ক্রিকেটার থেকে কোচ ও সমর্থক সকলেই বেশ খুশি হয়েছেন এই জয়ে।
তবে এদিনের ম্যাচে নায়ক ছিলেন দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তিনিই হন ম্যাচের সেরা। ৪২ বলে ৯৭ রানের একটি মারকুটে ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এর মধ্যে ছিল পাঁচটি চার এবং ৯টি ছয়। মাত্র ৩ রানের জন্য তিনি বঞ্চিত হন শতরান থেকে। যদিও তাঁকে আউট করা যায়নি। ইনিংস শেষে তিনি অপরাজিতই ছিলেন। অনেকে মনে করছেন যে দলের আরেক দাপুটে ব্যাটার শশাঙ্ক সিংয়ের মারকুটে ইনিংসের জন্যই শ্রেয়াস শতরান করতে পারেননি। তবে শশাঙ্কের ব্যাটিংও ছিল দেখার মতো। মোট ১৬টি বল খেলেন তিনি এবং করেন ৪৪ রান। সবমিলিয়ে, ব্যাটিংয়ের উপর ভর করেই ম্যাচ জিতেছে পাঞ্জাব বলা যায়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন শ্রেয়াস। সেখানে তিনি জানান শশাঙ্কের ইনিংসও কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই মুহূর্তে। পাঞ্জাব কিংসের বর্তমান অধিনায়কের বক্তব্য, “১৬ বল খেলে ৪৪ রানের যেই ইনিংস শশাঙ্ক খেলেছে, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য। আমরা একটা বেঞ্চমার্ক সেট করেছিলাম যে আমাদের সেটার দিকে যেতে হবে। শিশির আশায় পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারতো, কিন্তু ভালো বিষয় এটাই যে ও পারফর্ম করে দেখায়।”
নিজের ইনিংস নিয়েও খুশি প্রকাশ করেন শ্রেয়াস। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “মরশুমের প্রথম ম্যাচে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকার ইনিংস খেলা এবং তার উপর ম্যাচ জেতা পুরো কেকের উপর আইসিংয়ের মতো ব্যাপার। আমি যখন খেলতে নামি, তখন প্রথম বলেই আমি বাউন্ডারি হাকাই এবং সেই মোমেন্টামটাই কাজে লাগাই। রাবাডাকেও ছয় মারি ফ্লিক করে।” এছাড়া অন্যান্য প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। তবে দিনের শেষে তিনি ম্যাচের সেরা হলেও শশাঙ্কের ইনিংসে বেশ খুশি এবং তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।