দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলের শুরুটা একেবারে স্বপ্নের মতো পাঞ্জাব কিংসের কাছে। প্রথম ম্যাচেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দলের ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করে রীতিমতো পাহাড়ের সমান রান তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা স্কোরবোর্ডে। যদিও জয় তারা পেয়েছে বেশ অল্প ব্যবধানের। ১১ রানে তারা হারিয়েছে শুভমান গিল নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটানসকে। গুজরাটের ক্রিকেটাররাও বেশ আক্রমণাত্মক রূপ নিয়েছিলেন রান তাড়া করতে নেমে। যদিও শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় ম্যাচ এবং খাতা খুলে ফেলে পাঞ্জাব। সবমিলিয়ে, ম্যাচ হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি এবং আনন্দ দিয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকল দর্শককে।
তবে এই ম্যাচে বড় এন্টারটেইনার হিসেবে ফুটে উঠেছিলেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁর ৪২ বলে ৯৭ রান এবং মাঠের প্রতিটি কোনায় চার ও ছয় মুগ্ধ করেছে সকল ক্রিকেটপ্রেমী সহ স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের। তিনি যখন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাকাচ্ছিলেন, তখন বহু দর্শক হাততালিও দিচ্ছিলেন। গোটা মাঠজুড়ে যেন শুধু শ্রেয়াসেরই নাম শোনা যাচ্ছিল। সবমিলিয়ে, তিনি রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে দেন গুজরাটের বোলারদের। একটা সময়ে হোম টিমের বোলারদের চোখে-মুখে বেশ চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এতটাই তাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন শ্রেয়াস। ম্যাচের সেরা পর্যন্ত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।
তবে ম্যাচটি পাঞ্জাব জিতলেও ভিলেন হয়ে ওঠেন দলের এক তরুণ ক্রিকেটার শশাঙ্ক সিং। ব্যাট হাতে ঝড়ের গতিতে দান করা সত্ত্বেও তাঁর নিন্দা করেন বহু ক্রিকেটপ্রেমী। ১৬ বলে তিনি করেন ৪৪ রান, যার মধ্যে রয়েছে ছটি চার এবং দুটি ছয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে অনেকে তাঁকে দায়ী করেন শ্রেয়াসের শতরান না করতে পারার পেছনে। এখানেই শেষ নয়, অনেকে শশাঙ্ক সিংকে স্বার্থপর তকমা পর্যন্ত দিয়েছেন। আবার অনেকে তাঁকে পরবর্তী ম্যাচে না খেলানোর দাবি পর্যন্ত তুলেছেন। সবমিলিয়ে, নায়কের মতো কাজ করা সত্ত্বেও তাঁকে খলনায়ক মনে করছেন অনেকে।
তবে ঘটনাটি কি বা ঠিক কোন কারণে শশাঙ্ক এমনটি করেন, সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন তিনি। তরুণ ক্রিকেটারের বক্তব্য, “আমি ওকে জিজ্ঞেস করতাম যে আমি সিঙ্গেল নিয়ে ওকে স্ট্রাইক দেবো কিনা। কিন্তু ও নিজেই এসে আমাকে বলে যে আমি যেন ওর শতরান নিয়ে চিন্তা না করি এবং প্রত্যেকটা বল চালিয়ে খেলি। এটা বলার জন্য অনেক সাহস দরকার কারণ ২০ ওভারের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করাটা অত সহজ নয়, বিশেষ করে আইপিএলে। ওর কথাই আমার মনে আত্মবিশ্বাস জোগায়। দিনের শেষে এটা টিম গেম। তবে সেই মুহূর্তে এতো সেল্ফলেস থাকা সহজ ব্যাপার নয়।”