দেবজিৎ মুখার্জি: আরো একবার ক্রিকেটপ্রেমীদের টানটান উত্তেজনা বড় ম্যাচ উপহার দিল আইপিএল ২০২৫। এক জমজমাটি ম্যাচের সাক্ষী হলেন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিজেদের নামে করে নিল পাঞ্জাব কিংস। এগারো রানে তারা পরাজিত করল হোম টিম গুজরাট টাইটান্সকে। এদিন গোটা ম্যাচজুড়ে বইয়ের রানের বন্যা। দুই দলের ব্যাটারই ব্যাট হাতে মাঠের প্রতিটি কোনায় বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকায়। সবমিলিয়ে, এই ম্যাচ আনন্দ দিয়েছে স্টেডিয়ামে বসে থাকা দর্শকদের থেকে শুরু করে টিভিতে বসে খেলার আনন্দ নেওয়া ব্যক্তিদের।
তবে এতগুলি ভালো পারফরমেন্সের মাঝেও সকলের মন জিততে সফল হয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটিং। ৪২ বল খেলে তিনি করেছেন ৯৭ রান, যার মধ্যে রয়েছে ৫টি চার এবং ৯টি ছয়। অর্থাৎ মোট ৭৪ রান তিনি করেন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে। মাত্র তিন রানের জন্য তিনি বঞ্চিত হন শতরান থেকে। যদিও ইনিংস শেষে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অন্যদিক থেকে শশাঙ্ক সিংয়ের ঝড়ের গতিতে রান করার জেরে তিনি সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কিন্তু এই ইনিংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ৮ থেকে ৮০ সকলের। তিনিই হন ম্যাচের সেরা। বলা যায়, তিনি হয়ে উঠেছেন নয়নের মনি।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক শুভমান গিল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই হয় পাঞ্জাবের। তবে চতুর্থ ওভারে আউট হন প্রাভসিমরান। যদিও এরপরও থামেনি রান করার গতি। ২৩ বলে ৪৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন প্রিয়াংশ আরিয়া। এরপর শুরু হয় শ্রেয়াস ঝড়। রীতিমতো আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকেন তিনি গুজরাটের বোলারদের উপর। মাঝে উইকেট পড়লেও তাঁর আগ্রাসি ক্রিকেট পাল্টে যায়নি। বরং আরো দ্বিগুণ মাত্রায় রান করছিলেন। শেষে যদিও শশাঙ্ক সিংয়ের ইনিংসের ফলে তিনি মাত্র তিন রানের জন্য শতরান থেকে বঞ্চিত হন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান তোলে পাঞ্জাব।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারের পর ঝড়ের গতিতে রান করা শুরু করে গুজরাট। গিল আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার সাই সুদর্শন রানের গতি থামাননি। ৪১ বলে ৭৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বাটলার প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ৫৪ রান করে। রুদারফোর্ড আক্রমণ জারি রাখলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হননি গিলের বাহিনী। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৩২।