নর্থ লন্ডনের রাস্তায় স্পার্সদের ভিকট্রি প্যারেড! ভিড় সমর্থকদের

নর্থ লন্ডনের রাস্তায় স্পার্সদের ভিকট্রি প্যারেড! ভিড় সমর্থকদের

নিউজ ডেস্ক: ফুটবলপ্রেমীদের ভিড়ে এক আলাদা সাজে সেজে উঠলো নর্থ লন্ডনের রাস্তা। সদ্য দেড় দশকেরও বেশি সময়ের লড়াই শেষ করে ক্লাবের সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার এবং সেই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় একটি ভিকট্রি প্যারেডের। এই দৃশ্য চোখের নিমিষে ভাইরাল হয়ে যায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে। বলতে গেলে, এটি এই মুহূর্তে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে গেছে বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। চারিদিকেই এখন ভিকট্রি প্যারেডের ছবি ও ভিডিও ঘোরাফেরা করছে।

দুদিন আগে ইউরোপা লিগ ফাইনালে ট্রফির খড়া কাটাতে সফল হয়েছে অ্যাঙ্গে পস্টেকোগ্লোর ছেলেরা, ওরফে টটেনহ্যাম হটস্পার। তারা পরাজিত করেছে ইংল্যান্ড ফুটবলের ঐতিহ্যশালী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ১-০ গোলে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে তারা। সৌজন্যে প্রথমার্ধে ব্রেনান জনসনের গোল। এরপর পুরো ম্যাচটাই ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে কাটিয়েছে তারা। ম্যানইউর কাছে একাধিক গোল করার সুযোগ গেলেও সেগুলি কাজে লাগাতে সফল হয়নি তারা। কোনভাবেই তারা ভেদ করতে পারেনি টটেনহ্যামের রক্ষণভাগকে।

এই জয়কে ঘিরে একটি ভিকট্রি প্যারেডের আয়োজন করা হয়। উত্তর লন্ডনের রাস্তায় একটি ওপেন-টপ বাস দিয়ে হয় এই প্যারেড। এদিন ক্লাবের অজস্র সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। বলা যায়, এদিন মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের ফুটবলাররা যখন হাত নাড়াচ্ছিলেন সমর্থকদের দিকে, তখন সকলের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা একেবারে আলাদা মাত্রায় পৌছে গেছিল। পাশাপাশি, দলের কোচ অ্যাঙ্গে পস্টেকোগ্লোর বক্তব্যে বয়ে হাততালির বন্যা। এক কথায় বলতে গেলে, দীর্ঘদিন পর টটেনহ্যামের এই বড় জয় সমর্থকদের ম্লান হয়ে যাওয়া হাসি ফিরিয়ে এনেছে।

এই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। এরপরই শুরু হয় কমেন্টের বন্যা ক্লাবের সমর্থকদের তরফ থেকে। যদিও টটেনহ্যাম ভক্তরা একা নন, অন্যান্য ক্লাবের ভক্তরাও এদিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্পার্সকে। একাংশের বক্তব্য যে এই সাফল্যের হাত ধরে ফের হারিয়ে যাওয়া ছন্দ ফিরে পাবে ক্লাব। আবার আরেকাংশের বক্তব্য, এখনো অনেক ট্রফি জেতা বাকি তাদের। অনেকে আবার এটাও দাবি করেছেন যে নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিতে সফল হয়েছেন পস্টেকোগ্লো। সবমিলিয়ে, চারিদিকে এখন শুধু জয়জয়কার চলছে স্পার্সদের। এবার দেখার বিষয় যে এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারে কিনা তারা। বজায় থাকবে কি তাদের দাপট? তা জানা যাবে শীঘ্রই।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *