বৈভবের কীর্তিতে খুশি পিতা সঞ্জীব

বৈভবের কীর্তিতে খুশি পিতা সঞ্জীব

দেবজিৎ মুখার্জি: ৮ থেকে ৮০, এই মুহূর্তে সকলের মুখেই একটা নাম। সেটা রাজস্থান রয়েলসের সবচেয়ে অল্পবয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। ১৪ বছর বয়সে তিনি নিজের কীর্তি মাধ্যমে লাগিয়ে দিয়েছেন তাক। বলতে গেলে, চমকে গেছে দেশের ক্রিকেটমহল। ৩৫ বলে শতরান। যদিও কম বলে সেঞ্চুরি করার কীর্তি অনেকেরই রয়েছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে। কিন্তু বৈভবেরটা স্পেশাল হিসেবে ধরা হচ্ছে কারণ তাঁর বয়স অত্যন্ত কম। তাঁর ছক্কা হাকিয়ে সেঞ্চুরি দেখে একেবারে হুইলচেয়ার থেকে উঠে পড়েছেন দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। 

বৈভবের এই কীর্তিতে মুগ্ধ গোটা ভারতবর্ষ। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে তিনি ট্রেন্ডিং বললেই চলে। এছাড়া তারকা ক্রিকেটাররাও প্রশংসা করেছেন বৈভাবের এই দুর্দান্ত ও মারকুটে ইনিংসের। এবার ছেলের এই কীর্তি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পিতা সঞ্জীব সূর্যবংশী। তিনি দাবি করেন যে শুধু গোটা পরিবার নয়, এই ইনিংসে খুশি গোটা এলাকা, জেলা ও রাজ্য। পাশাপাশি, তিনি ধন্যবাদ জানান রাজস্থানের টিম ম্যানেজমেন্টকে বৈভবকে প্লেয়িং একাদশে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে একটা খুশির হাওয়া বইছে পুরো সূর্যবংশী পরিবারে।

গতকাল গুজরাটের বিরুদ্ধে ক্রাঞ্চ গেমে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করে হোম টিমকে এক বড়সড় টার্গেট দেয় গুজরাট। অনেকে একটা সময় অতিথী দলের সমর্থকরা ধরে নিয়েছিলেন যে রাজস্থান ম্যাচ জিতবেনা। কিন্তু তাঁদের ভুল প্রমাণ করে দিলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। নেমে গুজরাটের বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করেন। বলতে গেলে, কেউ বাদ যাননি তাঁর মারমুখি ব্যাটিংয়ের থেকে। সকলকেই হাকান চার-ছয়। বিশেষ করে যখন তিনি রাশিদ খানের বলে ছয় মেরে শতরান করেন, তখন স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। ম্যাচ রাজস্থান ৮ উইকেটে জেতে এবং তিনিই হন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।

বৈভবের ইনিংসে খুশি গোটা দেশ। ছেলের কীর্তি প্রসঙ্গে পিতা সঞ্জীব এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানান। তিনি বলেন, “আমরা প্রচন্ড খুশি। আমাদের লোকালিটি, জেলা ও রাজ্য, সবাই খুশি। আমরা রাজস্থান রয়েলস টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিগত ৩-৪ মাস ধরে বৈবাবকে বেশ ভালোভাবেই তৈরি করছিল রাজস্থান। সকলেই আমার ছেলেকে সাহায্য করেছে ব্যাটিংয়ে উন্নতির ক্ষেত্রে। ও নিজেও অনেক পরিশ্রম করেছে এবং আজ সেটারই ফল পেয়েছে।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *