বৈভবের ইনিংস মন ছুঁয়েছে শচীনের

বৈভবের ইনিংস মন ছুঁয়েছে শচীনের

দেবজিৎ মুখার্জি: রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ তারকা বৈভব সূর্যবংশীর প্রশংসা পঞ্চমুখ ক্রিকেটের ভগবান, তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা, শচীন তেন্ডুলকর। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি উদীয়মান ক্রিকেটারের প্রশংসা করেন, যার পর শুরু হয় কমেন্টের বন্যা। লিটিল মাস্টার দাবি করেন যে বৈভবের এই ইনিংসের পেছনে হাত রয়েছে তাঁর ভয়হীন অ্যাপ্রোচ, ব্যাট স্পিড, ইত্যাদির। এখানেই শেষ নয়, মাস্টার ব্লাস্টার এই পোস্টের সঙ্গে ‘বেবি বস’এর ছক্কা হাঁকানো ভিডিওটিও পোস্ট করেন।

গতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাজস্থান খেলতে নামে গুজরাটের বিরুদ্ধে। টসে জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষে শুভমান চার উইকেটে ২০৯। গিল নিজে করেন ৮৪। এছাড়া ৫০ রানের একটি মারকুটে ইনিংস খেলেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার জস বাটলার। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন যে ম্যাচ সহজেই গুজরাটের পকেটে যাবে। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। অত বড় একটি রান চেজ করতে নেমে একেবারে অন্যরকম ক্রিকেট দেখালো রাজস্থান। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, দলকে জয় উপহার দিলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ৩৮ বলে ১০১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তাঁকেই ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন যশস্বী জয়েসওয়ালও।

বৈভবের এই ইনিংস দেখে আনন্দে ফেটে পড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত রাজস্থানের সমর্থকরা। তাঁর সতীর্থরাও হাততালি দেন যখন তিনি শতরানে পৌঁছান রাশিদ খানকে ছয় মেরে। এখানেই শেষ নয়, ফ্র্যাকচার ভুলে নিজের উইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তালি দিতে দেখা যায় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিকেও। ম্যাচের পর বহু প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে প্রশংসা করে পোস্ট করেন এবং বহু ব্যবহারকারী তাতে দাবিও করেন যে আগামীদিনে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এক নক্ষত্র হয়ে উঠবেন বৈভব। আরো অনেকে নানারকম কমেন্ট করেন এই ইনিংসকে ঘিরে।

বৈভবের প্রশংসায় পোস্ট করার তালিকাতে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা লিটিল মাস্টার, ওরফে শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে মাস্টার ব্লাস্টার, ‘বেবি বস’এর ছয় মেরে সেঞ্চুরি করার ভিডিও সমেত, পোস্টে করেন। তাতে লেখা, “বৈভবের এই দুর্দান্ত ইনিংসের পেছনে রয়েছে তাঁর ফিয়ার্লেস অ্যাপ্রোচ, ব্যাট স্পিড, দ্রুত লেন্থ পিক-আপ ও বলের পেছনে এনার্জি ট্রান্সফার করা। অন্তিম ফল: ১০১ রান ৩৮ বলে। দারুন খেলেছো।” এরপরই অনেকে কমেন্ট করতে শুরু করেন। কেউ শচীনের সঙ্গে সহমত হলেও আবার অনেকে তাঁর পুত্র অর্জুনের প্রসঙ্গ টেনে এনেও কটাক্ষ করেন। বলতে গেলে, শচীনের এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *